মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মেয়ের ব্যবসার পক্ষে সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাফাই করতে গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন । অনেকে প্রেসিডেন্টের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘অনৈতিক’ বলেও অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের পোশাকসহ পণ্য বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের চেইন শপ নর্ডস্ট্রম কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন।
পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যে নির্ধারিত টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন ট্রাম্প। টুইট বার্তায় নর্ডস্ট্রমকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ইভাঙ্কার সাথে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। একজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর এমন কাজকে খুবই ‘অনুপযুক্ত’ বলে অভিহিত করেন। এর আগে হোয়াইট হাউসের নীতিসংক্রান্ত বিষয় দেখতেন এমন একজন ব্যক্তি একে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
নর্ম এইজেন নামের সেই ব্যক্তি নর্ডস্ট্রমকে ট্রাম্পের এমন কাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় আদালতের শরণাপন্ন হবারও পরামর্শ দেন। পেনসেলভেনিয়ার সিনেটর বব কেসির মুখপাত্র এর সমালোচনা করে বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট যখন নিজের পরিবারকে সমৃদ্ধ করতে একটি প্রাইভেট কোম্পানির বিরুদ্ধে কথা বলেন তখন এটি খুবই অনৈতিক বলে মনে হয়। তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন কাজের সাফাই দেওয়া হয়েছে।
মুখপাত্র শন স্পাইসার সমালোচনাকারীদের নীতি নিয়েই উল্টো প্রশ্ন তুলে বলেছেন, সন্তানের হয়ে একজন বাবার পক্ষ অবলম্বনকে যারা ভিন্ন চোখে দেখছেন বরং তারাই বিপথে রয়েছেন। অন্যদিকে সমালোচনাকারীরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের কার্যকলাপ অনেকটা বেশি ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। বিবিসি।