প্রাবন্ধিক মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা ও বর্ণমালার সহস্রাধিক বছরের ইতিহাসে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এর প্রযুক্তির ব্যবহার।
যন্ত্রযুগের পূর্ব পর্যন্ত সব লেখ্য পদ্ধতির মতোই বাংলা ভাষা হাতে লিখে বিকশিত হতে থাকে। তবে বাংলার যন্ত্রযুগ অনেক দেরিতে শুরু হয় বলেই এমনকি সারা দুনিয়ার মুদ্রণ যন্ত্র ও টাইপরাইটার চালু হলেও আমরা বাংলাকে যন্ত্রযুগে প্রবেশ করতে দেখিনি।
মঙ্গলবার বিকেল গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে বাংলার ডিজিটাল যাত্রা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। এ আলোচনায় তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মো. নজরুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিলুর রেজা চৌধুরী।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, একুশ শতকের প্রথম প্রান্তে যদিও আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ও বর্ণমালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের বহু ভাষার মতো সক্ষতা অর্জন করেছি তবু বাংলার জন্য আমাদের করণীয় রয়েছে অনেক।
আলোচক মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। এ ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এর চর্চা ও ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্য আমাদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলায় ই-বুক ও ডিজিটাল উপাদান বাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলা ভাষা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভাষা। এ ভাষাকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলা ভাষার সম্মিলন ঘটানো। বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহার ও প্রয়োগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন তিমির নন্দী, বুলবুল মহলানবীশ, মাহমুদ সেলিম এবং সন্দিপন দাস। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন দেবব্রত চৌধুরী (তবলা), সুনীল চন্দ্র দাস (বেহালা), ডালিম কুমার বডুয়া (কি-বোর্ড) এবং মো. ফারুক (প্যাড)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সায়েরা হাবীব।
বুধবারের আয়োজন : বুধবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৮ম দিনে বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সরদার জয়েনউদ্দিনের জন্মশতবার্ষিকী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, অধ্যাপক বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা। সভাপতিত্ব করবেন ড. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।