আধুনিক বিশ্ব ও তার জটিল অর্থ ব্যবস্থায় আপনি যদি কারো সম্পদের পরিমাণ জানতে চান, তাহলে আপনি কেবল তার আনুমানিক হিসেব জানতে পারবেন। সঠিক হিসেবটা জানবেন কেবল তিনিই।
আর তিনি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোন তাহলে তো কথাই নেই। তার সম্পদের পরিমাণ এক ডলার থেকে অসংখ্য কোটি ডলারে গিয়েই ঠেকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তার ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যাবেন তার ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিকের ওপর। কিন্তু কতো ডলার আছে তার?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় দৃশ্যমান অনেক সম্পদের পাশাপাশি অদৃশ্যমান অনেক সম্পদ রয়েছে, যাকে আর্থিক মূল্যে রুপান্তর করা অসম্ভব একটা ব্যাপার। কিন্তু তার দৃশ্যমান সম্পদ নিয়ে একটা আলোচনা করা যেতে পারে। ট্রাম্পের দৃশ্যমান সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প ট্রাওয়ার, ম্যানহ্যাটানে ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, লাস ভেগাসে স্বর্ণখচিত ট্রাম্প হোটেল, ফ্লোরিডায় পাম বিচ স্টেট, স্কটল্যান্ডে ট্রাম্প টর্নবেরিসহ বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৬টি গলফ কোর্স।
গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তার প্রচার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা উত্তর দিয়েছিলেন ১০ বিলিয়নের বেশি হবে। কিন্তু ব্লুমবার্গ মনে করে তারা অনেক বাড়িয়ে বলেছে। সংবাদ মাধ্যমটির হিসেব অনুযায়ী ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ তিন বিলিয়নের কাছাকাছি।
তার মোট ঋণের পরিমাণ আগের বছর ছিল ৩৬০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে হঠাৎ বেড়ে দাড়িয়েছে ৬৩০ মিলিয়ন ডলারে।
ট্রাম্প তার আয়কর রিটার্ন কখনো দাখিল করেননি। আর করলেও খুব একটা লাভ হতো না। তার রিটার্ন সম্পর্কে সবারই থেকে যেতো সন্দেহের দোলাচলে। এমন কি তার দলের লোকরা পর্যন্ত।
ফোর্বস অবশ্য তার নিট সম্পদের পরিমাণ হিসেব করেছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে পত্রিকাটি কেবল মাত্র তার ২৮টি সম্পদের মূল আরোপিত করেছে।
একটি পত্রিকা তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাসিক বেতন ধরেছে ৪০০,০০০ ডলার অন্যান্য ভাতা বাবদ ৫০,০০০ ডলার।
ট্রাম্পের কোম্পানিগুলোর কয়েকটি দেউলিয়াও হয়েছিল। এর মধ্যে ট্রাম্প তাজমহল দেউলিয়া হয়েছিল ১৯৯১ সালে আর ট্রাম্প ক্যাসল ১৯৯২ সালে।
তবে ট্রাম্প পরিস্কার থাকতে চান বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শেরি ডিলন। এর অর্থ তিনি তার প্রেসিডেন্ট পদকে লাভের জন্য ব্যয় করবেন না।