যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথেই ৫টি ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রিপাবলিকান নেতা তার অফিসে বসার সাথে সাথেই অনেকগুলো ইতিহাসের মালিক হয়ে গেছেন। হোয়াইট হাউজে এবার অনেক কিছুই ‘প্রথমবারের’ মত হচ্ছে, যা বিশ্ব দেখেনি আগে। যেমন:
১. সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট:
গত জুন মাসে ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মানে দাঁড়াচ্ছে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়া সবচাইতে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। এর আগের রেকর্ডটি ছিল রোনাল্ড রিগ্যানের। ১৯৮১ সালে তিনি ৬৯ বছর বয়সে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
২. প্রথম বিলিওনেয়ার:
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রথম শত-কোটিপতি প্রেসিডেন্ট। ফোর্বসের হিসেবে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩শ’ ৭০ কোটি ডলারের বেশী। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ধনী প্রেসিডেন্টই এসেছেন। আজকের ডলারের হিসেবে প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫০ কোটি ডলারের মত। শত-কোটিপতি বলেই হয়তো মাত্র ১ ডলার মাসিক বেতন গ্রহণ করে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
৩. ধনী মন্ত্রীসভা:
ট্রাম্প যখন একে একে তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে শুরু করেন তখন তাদের ‘মোটা মানিব্যাগ’ অত্যন্ত দ্রুততার সাথেই ডেমোক্রেটদের ঘৃণা আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ভাল হোক আর খারাপ হোক, আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছে সবচাইতে সম্পদশালী প্রশাসন। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত উইলবার রসের নিজেরই আড়াইশো কোটি ডলারের সম্পদ হচ্ছে। তার একার সম্পদই ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের পুরো মন্ত্রীসভার সদস্যদের মোট সম্পদের চাইতেও দশ গুন বেশী।
৪. ক্ষমতাধর সন্তান:
জামাই জ্যারেড কুশনারকে ট্রাম্প তার সিনিয়র উপদেষ্টা ঘোষণা করার পর বিরোধী শিবিরে স্বজনপ্রীতি বলে রব উঠেছে।
কিন্তু অনেকে বলছেন, এই মনোনয়ন মাধ্যমে ৩৬ বছর বয়সী কুশনার মার্কিন ইতিহাসের সবচাইতে ক্ষমতাধর জামাইতে পরিণত হয়েছেন। তবে তিনিই কিন্তু প্রথম নন, প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের মেয়ে ইলিয়ানরকে বিয়ে করেছিলেন তারই ট্রেজারি মন্ত্রী উইলিয়াম গিবস ম্যাকাডু।
৫. পোষা প্রাণী নেই:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এত প্রাচুর্যের মধ্যেও একটি জিনিসের অভাব হয়তো আপনার নজরে পড়বে, তার কোনো পোষা প্রাণী নেই। এড় অর্থ দাঁড়াচ্ছে, গত এক শতাব্দীরও বেশী সময়ের ইতিহাসে ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন প্রথম প্রেসিডেন্ট, হোয়াইট হাউজে যার কোনো পোষা প্রাণী থাকবে না। প্রেসিডেনশিয়ল পেট মিউজিয়াম জানাচ্ছেন, প্রায় প্রত্যেক প্রেসিডেন্টেরই পোষা প্রাণী ছিল। জন এফ কেনেডির পোষা প্রাণীর সংগ্রহকে চিড়িয়াখানার সাথে তুলনা করা যেত।