ভারতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ পুরানো। এই পরিবারতন্ত্রের সব থেকে বড় সমালোচক বিজেপি। আর বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবারও নেহাত ছোট নয়। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আর্থিক অবস্থা কেমন?
সামনে ভারতের উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে দুই পরিবার এ বার এক জোট হয়ে লড়বে। গাঁন্ধী পরিবার ও যাদব পরিবার হাত মিলিয়েছে। বিহারে লালুপ্রসাদের আরজেডি থেকে ওড়িশায় বিজু জনতা দল- সবাই কমবেশি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী। তুলনায় বিজেপিতে সে ভাবে পরিবারতন্ত্র নেই বললেই চলে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে দুই পরিবারের জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদির অরাজনৈতিক পারিবারকেও ইস্যু করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রচারে বলা হচ্ছে-
একদিকে ক্ষমতালোভী যাদব পরিবার, গাঁন্ধী পরিবার আর অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদির পরিবার। খবর এবেলার।
বিজেপির দাবি, যেমন সাধারণ পরিবার থেকে নরেন্দ্র মোদি উঠে এসেছেন, এখনও তেমন সাধরণ জীবনযাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর দাদা, ভাই, বোন। বাস্তবে কেমন আছেন মোদির ভাই-বোনরা?এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের পরিচয়।
নরেন্দ্র মোদীর বাবা দামোদরদাস ও মা হীরাবেনের মোট ছয় সন্তান। বাবা ছিলেন পেশায় চা ওয়ালা। পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। সেঝ ছেলে নরেন্দ্র এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর বড় ছেলে সোমাভাই মোদি গুজরাত সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরে ৭৫ বছর বয়স্ক প্রধানমন্ত্রীর দাদা এখন সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। নিজের গ্রাম ভদনগরে একটি বৃদ্ধা আশ্রম চালান তিনি।
সোমাভাই ও অমৃতভাই মোদির মাঝে বোন বাসন্তীবেন। প্রধানমন্ত্রীর আর এক দাদা অমৃতভাই থাকেন আহমেদাবাদে। সেখানে একটি কারখানায় তিনি লেদ মেশিন অপারেটর। আর এক ভাই থাকেন আহমেদাবাদে। তিনি প্রহ্লাদভাই। তিনি সেখানে একটি রেশন দোকানের মালিক। গুজরাতের গ্রোসারি শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি তিনি। গাঁন্ধীনগরে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই পঙ্কজভাই মোদি। গুজরাত সরকারের তথ্য দফতরে একজন অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে চাকরি করেন তিনি। তার কাছেই থাকেন মা হীরাবেন।
পাঁচ ভাইয়ের একমাত্র বোন বাসন্তীবেন থাকেন গুজরাতেরই ভিসনগরে। তার স্বামী হাসমুখভাই মোদি ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) এজেন্ট। প্রতি বছর রাখী পূর্ণিমায় বাসন্তীবেনের বাড়িতেই যান প্রধানমন্ত্রী মোদি।