নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর আসামী নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তাকে স্বাভাবিক থাকতে দেখা গেছে। তবে রায় ঘোষণার পরপরই কয়েকজন কান্নায় ভেঙে পড়ে।
রায় পড়ার সময় নূর হোসেনের দুই সহযোগী কাঁদতে শুরু করলে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা তাদের ‘কিছু হবে না’ বলে সান্ত্বনাও দেন। ওইসময় র্যাবের সাবেক দুই অধস্তনকর্মী তাদের ‘এ পরিণতির জন্য’ সিনিয়র কর্মকর্তাদের দুষতে থাকেন। তাদের একজনকে তারেক সাঈদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “শালা, তোদের জন্য আজকে আমাদের এই অবস্থা।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সকাল দশটার
পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রায় ঘোষণা শেষ হয়ে যায়। এই মামলায় মোট আসামী ৩৫ জন। তাদের মধ্যে যে ২৩ জন আটক রয়েছেন। তাদের সকলকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে নিয়ে আসা হয় আদালতে।
তবে প্রধান চারজন আসামী সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানাকে আদালতে আনা হয় রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে। তাদেরকেও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়েছিলো কিন্তু আদালতে ঢোকার সময় তাদের ডাণ্ডাবেরি খুলে দেওয়া হয়। নূর হোসেনকে আনা হয় মাথায় হেলমেট পরিয়ে।
আদালতে বিচারকের আসনের বাম পাশে তৈরি লোহার বিশাল একটি খাঁচায় নূর হোসেনসহ বেশিরভাগ আসামীকে রাখা হলেও র্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছিলো খাঁচার বাইরে। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জনই পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাবের সদস্য ছিলেন। বাকি দশজনের মধ্যে রয়েছেন নূর হোসেন এবং তার সহযোগীরা।
মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় নেতা ছিলেন। সাত খুনের ঘটনার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মেজর তারেক সাঈদ মোহাম্মদ বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জামাতা।