ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে চলনবিলের শুঁটকি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৭
  • ২৮৫ বার

নাটোরের চলনবিলের শুঁটকি মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি বছর প্রায় ৫০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হবে যার বাজার মূল্য কোটি টাকার বেশি।

জেলা মৎস অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদরসহ সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম উপজেলা জুড়ে রয়েছে চলনবিল। মৎস্য সম্পদে ভরপুর চলনবিল এলাকার মৎস্যজীবীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। চলনবিলের মাছ স্বাদ যুক্ত হওয়ায় এ মাছের শুঁটকির চাহিদাও বেশি।

সরেজমিনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে সিংড়া উপজেলার নিঙ্গুইন এলাকার শুঁটকি শুকানোর চাতালে গিয়ে দেখা যায়, দলবেধে নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা শুঁটকি শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। রোদের মাঝে শুঁটকি ওলট-পালট করে দিচ্ছে কেউ কেউ। তাদের মধ্যে কেউ আবার ছোট-বড়, ভাল-মন্দ শুঁটকি আলাদা করতে দম ফেলার সময় পাচ্ছে না। মহাসড়কের পাশেই বসে গেছে অস্থায়ী বাজার। গাড়ি থামিয়ে দামদর করে বিলের বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি কিনছেন অনেকেই।

শুঁটকি ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া জানান, চলনবিলের মাছ প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে শুঁটকি তৈরি করে সৈয়দপুর, রংপুর, তিস্তার আড়তদারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।ভ এখনো চলনবিল এলাকায় বাজার সৃষ্টি হয়নি।

আরেক ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন জানান, মান ভেদে প্রতিকেজি শুঁটকি দুইশ’ থেকে তিনশ’ টাকায় বিক্রি হয়। তবে এ বছর মাছের পরিমাণ কম। চলনবিলে অবৈধ বাধাই জালের ব্যবহার বেশি। এ কারণে বিলে মাছ কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চলনবিলের মাছ আর শুঁটকির ব্যবসায়ে ধ্বস নামবে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম জানান, চলনবিলের শুঁটকি কোন রকম রাসায়নিকের প্রয়োগ ছাড়াই প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এটা অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা আছে। তবে চলনবিল অঞ্চলে একটা শুঁটকি সংরক্ষণাগার খুবই দরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে চলনবিলের শুঁটকি

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৭

নাটোরের চলনবিলের শুঁটকি মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি বছর প্রায় ৫০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হবে যার বাজার মূল্য কোটি টাকার বেশি।

জেলা মৎস অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদরসহ সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম উপজেলা জুড়ে রয়েছে চলনবিল। মৎস্য সম্পদে ভরপুর চলনবিল এলাকার মৎস্যজীবীদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। চলনবিলের মাছ স্বাদ যুক্ত হওয়ায় এ মাছের শুঁটকির চাহিদাও বেশি।

সরেজমিনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে সিংড়া উপজেলার নিঙ্গুইন এলাকার শুঁটকি শুকানোর চাতালে গিয়ে দেখা যায়, দলবেধে নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা শুঁটকি শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। রোদের মাঝে শুঁটকি ওলট-পালট করে দিচ্ছে কেউ কেউ। তাদের মধ্যে কেউ আবার ছোট-বড়, ভাল-মন্দ শুঁটকি আলাদা করতে দম ফেলার সময় পাচ্ছে না। মহাসড়কের পাশেই বসে গেছে অস্থায়ী বাজার। গাড়ি থামিয়ে দামদর করে বিলের বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি কিনছেন অনেকেই।

শুঁটকি ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া জানান, চলনবিলের মাছ প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে শুঁটকি তৈরি করে সৈয়দপুর, রংপুর, তিস্তার আড়তদারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।ভ এখনো চলনবিল এলাকায় বাজার সৃষ্টি হয়নি।

আরেক ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন জানান, মান ভেদে প্রতিকেজি শুঁটকি দুইশ’ থেকে তিনশ’ টাকায় বিক্রি হয়। তবে এ বছর মাছের পরিমাণ কম। চলনবিলে অবৈধ বাধাই জালের ব্যবহার বেশি। এ কারণে বিলে মাছ কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চলনবিলের মাছ আর শুঁটকির ব্যবসায়ে ধ্বস নামবে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম জানান, চলনবিলের শুঁটকি কোন রকম রাসায়নিকের প্রয়োগ ছাড়াই প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এটা অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা আছে। তবে চলনবিল অঞ্চলে একটা শুঁটকি সংরক্ষণাগার খুবই দরকার।