১৯ ডিসেম্বর আমেরিকার কংগ্রেস ভবনগুলোতে ভোট দেবেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত ইলেক্টোররা। সোমবার ৫৩৮ জন ইলেক্টোর তাদের ভোট দিয়ে চূড়ান্তভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন। যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাবেন, তিনিই হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ফলে সারা বিশ্বের নজর এখন দেশটিতে। কে হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? হিলারী না ট্রাম্প?
প্রত্যেক ইলেক্টোরকে ছ’টি করে ব্যালট পেপার সই করতে হবে। এর মধ্যে দু’টি ব্যালট যাবে জাতীয় আর্কাইভে,
একটি সিনেটের প্রেসিডেন্টের কাছে, দু’টি রাজ্যের প্রধান নির্বাচন অফিসারের কাছে এবং একটি ব্যালট যাবে স্থানীয় বিচারকের কাছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও দেশটির নির্বাচন প্রক্রিয়ার কারণে তাকে আরো একটি ধাপ পার হতে হবে।
সবশেষ ধাপ হিসেবে জানুয়ারির ৬ তারিখে গোনা হবে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। আর ভোট গোনা কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করবেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভোট গোনা শেষ হলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজে।
যদিও আমেরিকার সংবিধানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে ২০১৬ সালে ইলেক্টোরাল কলেজের ভূমিকায় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকজন সদস্য এখনো তাদের ভোটের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না। নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ওঠায় ট্রাম্পকে ভোট না দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন অনেকেই। তাই ইলেক্টোরদের ওপরই নির্ভর করছে আমেরিকার ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট ভাগ্য।