নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে রাশিয়া। ট্রাম্পকে জয়ী করার পক্ষেই কাজ করে রাশিয়ার। মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। গতকাল শুক্রবার তারা এ খবর প্রকাশ করে।
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি সিআইএর পর্যালোচনা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে উল্লেখ করা হয় ওয়াশিংটন পোস্টের সেই রিপোর্টে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ ছিল মস্কোর। উইকিলিকসকেও তারা বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করতেন। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচার প্রধান এবং অন্যদের ইমেইল হ্যাকিংয়ের পেছনেও তাদের হাত ছিল।
ট্রাম্পের মধ্যবর্তী দল (ট্রানজিশন) বলছে, এরাই সেই মানুষ যারা বলেছিল, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। নির্বাচন অনেক দিন আগেই ঐতিহাসিক নির্বাচনটি শেষ হয়েছে। এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আবার সেরা করে তোলার সময়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি এই সব বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি না রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।
এ ঘটনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাইবার হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হ্যাকিংয়ের পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপে রাশিয়ার কতোটুকু ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওবামা।