ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ জনের বিরুদ্ধে আর্থিক তদন্ত শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ২২৮ বার

আর্থিক তদন্ত শুরু হয়েছে গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে । তলব করা হয়েছে তাদের ব্যাংক হিসেব। এদের মধ্যে ড. ইউনূস পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।

সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) পৃথক দুটো চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসেবের নানা তথ্য চেয়েছে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল ড. ইউনূস, তার স্ত্রীসহ গ্রামীন ব্যাংকের নামে এফডিআর, মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমান, চলতি হিসেব, খৃন বিতরনের তথ্য, ফরেন কারেন্সি একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড এবং লকার ভল্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। এছাড়াও ড, ইউনূসকে তার আয়কর, গ্রামীন ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

ড, ইউনূস সেন্টারের মুখপাত্র সাব্বির ওসমান কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের নোটিশ সম্পর্কে তার পক্ষে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে সংবাদ মাধ্যম। তবে ড. ইউনূসের আয়কর রিটার্ণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সময়মত তিনি আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমটি প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স চিঠি দেয়। এরপরই চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও করফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ ধরনের ব্যবস্থা নিতেই পারে। তবে এটা রাজস্ব ফাঁকি না হয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানির উদ্দেশ্যে হয় তা হবে দু:খজনক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১১ জনের বিরুদ্ধে আর্থিক তদন্ত শুরু

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

আর্থিক তদন্ত শুরু হয়েছে গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে । তলব করা হয়েছে তাদের ব্যাংক হিসেব। এদের মধ্যে ড. ইউনূস পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।

সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) পৃথক দুটো চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসেবের নানা তথ্য চেয়েছে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল ড. ইউনূস, তার স্ত্রীসহ গ্রামীন ব্যাংকের নামে এফডিআর, মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমান, চলতি হিসেব, খৃন বিতরনের তথ্য, ফরেন কারেন্সি একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড এবং লকার ভল্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। এছাড়াও ড, ইউনূসকে তার আয়কর, গ্রামীন ব্যাংক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

ড, ইউনূস সেন্টারের মুখপাত্র সাব্বির ওসমান কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের নোটিশ সম্পর্কে তার পক্ষে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে সংবাদ মাধ্যম। তবে ড. ইউনূসের আয়কর রিটার্ণ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সময়মত তিনি আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমটি প্রতিবেদনে বলেছে, গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স চিঠি দেয়। এরপরই চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও করফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ ধরনের ব্যবস্থা নিতেই পারে। তবে এটা রাজস্ব ফাঁকি না হয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানির উদ্দেশ্যে হয় তা হবে দু:খজনক।