যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলারির ই-মেইল নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করার অঙ্গীকার করছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কেলিঅ্যানি কনওয়ে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারির ই-মেইল বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো তদন্ত করবেন না।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যাবহার করে যে গোপন তথ্য চালাচালি করেছেন তা তদন্তের জন্য বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ দেবেন। তাছাড়া, দোষী প্রমাণিত হলে হিলারিকে কারাগারে পাঠানোর কথাও বলেছিলেন তিনি।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প তার অবস্থান থেকে সরে আসার কথা জানালেন। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
কোনওয়ে এমএসএনবিসিকে বলেন, ‘আমি মনে করি যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় তাকে দলীয় প্রধানের দায়িত্বও পালন করতে হয়। ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পরও এই বিষয়ে আর কোনো অভিযোগ আনবেন না।’
কোনওয়ে বলেন, ক্লিনটন পপুলার ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে ১৫ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। তবে অধিকাংশ আমেরিকান হিলারিকে সৎ বা বিশ্বস্ত মনে করে না। হিলারিকে এই বিষয়টির মুখোমুখি এখনো হতে হচ্ছে। ট্রাম্প তাকে সাহায্য করতে চান। সম্ভবত এটিই করার মতো ভালো কিছু।’
‘দেখুন আমি মনে করি, ট্রাম্প বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারের বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকতে চান না।’