ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর যদি দেখেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মূল চেতনাবোধের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাহলে তিনি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত রীতি অনুসারে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ক্ষমতা হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক বাদানুবাদ এড়িয়ে চলেন এবং উত্তরসূরিদের সম্পর্কে সমালোচনা থেকে বিরত থাকেন। তবে এই প্রথা ভাঙ্গারই ইঙ্গিত দিলেন ওবামা।
পেরুর লিমায় অ্যাপেক সম্মেলনের সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবামা জানান, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার রূপকল্পের নকশা তৈরির
জন্য সময় দিতে চান এবং এ কাজে তাকে সহায়তাও করতে চান। তবে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তিনি কিছু কিছু বিষয়ে প্রতিবাদও করতে পারেন।
বারাক ওবামা বলেন, “আমি চাই প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রতি সম্মান ধরে রাখতে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে একটা সুযোগ দিতে চাই যেন তিনি তার প্ল্যাটফর্ম ও যুক্তিগুলো কারও হস্তক্ষেপ ছাড়াই সবার কাছে তুলে ধরতে পারেন।
তবে যদি কোনো ইস্যু আমাদের মূল্যবোধ ও আদর্শের দিকে প্রশ্ন তোলে, এবং আমার মনে হয় সেই আদর্শকে রক্ষা করা আমার জন্য দরকার, তাহলে আমি সেটা যাচাই করে দেখব।”
নির্বাচনী প্রচারের সময় ওবামা তাকে প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করলেও রিপাবলিকান এই নেতাই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য ও নীতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব। উদ্বিগ্ন বিশ্বনাগরিকদের ট্রাম্প সম্পর্কে নেতিবাচক ইতি টানতে মানা করলেন ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা এখন আন্তর্জাতিক বিদায়ী সফরে রয়েছেন। গ্রিস ও জার্মানি সফরের সময় ট্রাম্প সম্পর্কে উদ্বেগ প্রশমনের ওপর জোর দেন ওবামা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা যায়।