বিরোধী চাপ, শরিকি চাপের পরও তিনি অনড়। শনিবারই জানিয়ে দিয়েছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহার করবেন না। এমনকী হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন, আগামী দিনে কালো টাকার বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযান তিনি করবেন।
জাপান সফরের পর দেশে ফিরে আজ প্রথম জনসভাতেও একই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর গলায়।গোয়ার মোপাতে নয়া বিমানবন্দরের শিলান্যাস উপলক্ষে সভায় আজ বক্তব্য রাখেন
প্রধানমন্ত্রী।
গোটা দেশ যেভাবে কষ্ট সহ্য করেও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করছে, তা প্রশংসার বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে বলেন, ‘এই কষ্ট আমিও অনুভব করি। আমি কোনো ঔদ্ধত্য দেখাতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। বড় অফিসে চেয়ারে বসার জন্য জন্ম নেইনি। আমিও দারিদ্রতা দেখেছি।’ এই কথাগুলি বলার সময় দৃশ্যত আবেগপ্রবণ হয়ে মোদির চোখে জল এসে যায়।
দেশের সেবা করতেই যে তিনি ‘পরিবার ও ঘর ত্যাগ’ করেছেন, তাও স্মরণ করিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রসঙ্গত, শনিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্বাধীনতার আমল থেকে সব হিসাব তিনি খতিয়ে দেখবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় আসলে কংগ্রেস দল। কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বেশি তারাই দেশ শাসন করেছে। ইন্ডিয়া টাইমস।