ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাতে পাল্টাপাল্টি সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফের হামলা, ভাংচুর ও গুলাগুলির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) উপজেলার নূরজাহানপুরের কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।
এদিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত থেকে এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন বলে আজ সকালে জানিয়েছেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক।
এর আগে উপজেলার বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ চারজনকেই রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মারা যান। গুলিবিদ্ধ ইয়াছিনের (২০) অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে ৯টার দিকে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় আচমকা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হোটেলটিতে গুলি করতে করতে ঢুকে। সে সময় শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়।
এ তথ্য শিপনের এলাকায় জানাজানি হলে তার পক্ষের লোকজন গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়।
এ সময় তাদের ছোঁড়া গুলিতে এমরান মাস্টারও (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমররান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। পরে হামলাকারীরা থোল্লাকান্দি গ্রামেও হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।শনিবার রাত সাড়ে এগারটায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।