ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সংসদ গঠন করতে হবে : সালাহউদ্দিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিএনপি কৃষকদের হাতকে শক্তিশালী করবে সর্বমহলেই তারেক রহমানের প্রশংসা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা মুসলমানদের জন্য সুরক্ষিত স্থাপনা চীনা সরকারের আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি রাজধানী ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন মুরাদ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতল বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শিপনের মৃত্যু, এলাকায় ফের আতঙ্ক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাতে পাল্টাপাল্টি সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফের হামলা, ভাংচুর ও গুলাগুলির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) উপজেলার নূরজাহানপুরের কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।

এদিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত থেকে এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন বলে আজ সকালে জানিয়েছেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক।

এর আগে উপজেলার বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ চারজনকেই রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মারা যান। গুলিবিদ্ধ ইয়াছিনের (২০) অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে ৯টার দিকে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় আচমকা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হোটেলটিতে গুলি করতে করতে ঢুকে। সে সময় শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়।

এ তথ্য শিপনের এলাকায় জানাজানি হলে তার পক্ষের লোকজন গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়।

এ সময় তাদের ছোঁড়া গুলিতে এমরান মাস্টারও (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমররান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। পরে হামলাকারীরা থোল্লাকান্দি গ্রামেও হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।শনিবার রাত সাড়ে এগারটায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শিপনের মৃত্যু, এলাকায় ফের আতঙ্ক

আপডেট টাইম : ১১:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাতে পাল্টাপাল্টি সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফের হামলা, ভাংচুর ও গুলাগুলির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত শিপন মিয়া (৩০) উপজেলার নূরজাহানপুরের কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।

এদিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত থেকে এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন বলে আজ সকালে জানিয়েছেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক।

এর আগে উপজেলার বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ চারজনকেই রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মারা যান। গুলিবিদ্ধ ইয়াছিনের (২০) অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারে স্থানীয় একটি হোটেলে ৯টার দিকে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় আচমকা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হোটেলটিতে গুলি করতে করতে ঢুকে। সে সময় শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়।

এ তথ্য শিপনের এলাকায় জানাজানি হলে তার পক্ষের লোকজন গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়।

এ সময় তাদের ছোঁড়া গুলিতে এমরান মাস্টারও (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি পার্শ্ববর্তী শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এমররান মাস্টারের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে। পরে হামলাকারীরা থোল্লাকান্দি গ্রামেও হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।শনিবার রাত সাড়ে এগারটায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।