প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীতা নিশ্চিতের দৌড়ের সময় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে দেয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যটি তার ওয়েবসাইট থেকে উধাও হওয়ার দুই দিন পর তা আবারও ফিরে এসেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বক্তব্যটি ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যায়। তার জায়গায় বসে ট্রাম্পের বিভিন্ন প্রচারণায় ভোটারদের আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার লিংক।
‘মুসলিম অভিবাসন রোধে ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের বিবৃতি’ শীর্ষক লিংকটিতে ক্লিক করলেই তখন সংশ্লিষ্ট পেজে না গিয়ে লিংকটি রিডাইরেক্ট হয়ে সরাসরি হোমপেজে চলে যাচ্ছিল এবং সেখান থেকে ভোটারদের সহায়তা দেয়ার লিংকে।
ইমেইলের মাধ্যমে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ডোনাল্ড প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং জানিয়েছেন, শুধু মুসলিম নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিবৃতিই নয়, আরও বেশ কিছু বিবৃতির পেজ কিছু সময়ের জন্য একই সঙ্গে হোমপেজে রিডাইরেক্ট হয়ে যাচ্ছিল।
“বিষয়টি আমরা দেখছি এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যাটি সমাধান করা হবে।”
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা) দিকে বিবৃতি সম্বলিত পেজগুলো আবার দেখা যেতে থাকে।
মুসলিমদের আমেরিকা থেকে প্রথমে সাময়িক এবং প্রয়োজনে পরে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়া বিবৃতিটির পেজ ওয়েবসাইটে ৮ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনও ছিল। কিন্তু সেদিন রাতেই পেজটি সরিয়ে তার জায়গায় আর্থিক সাহায্যের নতুন লিংকটি বসিয়ে দেয়া হয়।
গত বছর নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণার এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আসলে কী ঘটছে, তা বুঝে ওঠার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের উচিত দেশে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া। এ বক্তব্যের পর তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন তিনি।
কিন্তু তারপরও কথাগুলো আর ফিরিয়ে নেননি ট্রাম্প। বরং নিজের ওয়েবসাইটেও বিবৃতিটি রেখেছিলেন সবার পড়ার উদ্দেশ্যে।
ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা বরাবরই নিষিদ্ধ প্রস্তাবের পক্ষে বলে এসেছেন, পদক্ষেপটি আমেরিকানদের ‘নিরাপত্তা’র জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে, ধর্মের মাঝে বৈষম্য করার জন্য নয়। নিষিদ্ধ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে দেয়া বক্তব্যের ভিডিও এবং লিখিত বিবৃতিগুলোও ছিল ট্রাম্পের ওয়েবসাইটে।