ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৫ বার

গাজা থেকে হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ। ২৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার হুমকির পরই মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস।

মঙ্গলবার গভীর রাতে রেডক্রস কফিনে মোড়ানো মরদেহগুলো সংগ্রহ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে সোমবার ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ২০ জন জীবিত ও চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছিল।

এদিকে রেডক্রস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল ৪৫ জন মৃত ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফেরত দিয়েছে। যাদের মরদেহ ইসরায়েলেই রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী (যা ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই মেনে নিয়েছে), সোমবার দুপুরের মধ্যে ৪৮ জন জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মি ইসরায়েলে ফেরত গেলেও এখনো ২০ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় হামাসের ওপর চাপ বাড়ায় ইসরায়েলি সরকার।

মঙ্গলবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হামাসকে চুক্তি অনুযায়ী সব জিম্মিকে তাদের পরিবারের কাছে দাফনের জন্য ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন যে, “জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব হলে কিংবা এ নিয়ে ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণ করা হলে সেই অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া জানাবে ইসরায়েল।”

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করে জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় তারা গাজায় ত্রাণ সহায়তা সীমিত করবে। একই সাথে মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে হামাস বলছে, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তাই সময় লাগছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হয়তো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সব দেহ খুঁজে নাও পেতে পারে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যারা এখনো ফেরত আসেনি কিংবা যাদের দেহাবশেষও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাদের খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্স কাজ শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এক্স একাউন্টে লিখেছেন, “একটা বড় বোঝা লাঘব হয়েছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতদের ফেরত দেওয়া হয়নি! দ্বিতীয় ধাপ এখনই শুরু হচ্ছে।”

যুদ্ধবিরতি মোটামুটি বজায় থাকলেও মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পূর্ব গাজা ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে আলাদা দুটি ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আরও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস

আপডেট টাইম : ১২:২০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

গাজা থেকে হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ। ২৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার হুমকির পরই মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস।

মঙ্গলবার গভীর রাতে রেডক্রস কফিনে মোড়ানো মরদেহগুলো সংগ্রহ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে সোমবার ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ২০ জন জীবিত ও চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছিল।

এদিকে রেডক্রস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল ৪৫ জন মৃত ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফেরত দিয়েছে। যাদের মরদেহ ইসরায়েলেই রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী (যা ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই মেনে নিয়েছে), সোমবার দুপুরের মধ্যে ৪৮ জন জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মি ইসরায়েলে ফেরত গেলেও এখনো ২০ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় হামাসের ওপর চাপ বাড়ায় ইসরায়েলি সরকার।

মঙ্গলবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হামাসকে চুক্তি অনুযায়ী সব জিম্মিকে তাদের পরিবারের কাছে দাফনের জন্য ফিরিয়ে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন যে, “জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব হলে কিংবা এ নিয়ে ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপণ করা হলে সেই অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া জানাবে ইসরায়েল।”

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করে জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় তারা গাজায় ত্রাণ সহায়তা সীমিত করবে। একই সাথে মিসরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে হামাস বলছে, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ শনাক্ত করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তাই সময় লাগছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হয়তো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সব দেহ খুঁজে নাও পেতে পারে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যারা এখনো ফেরত আসেনি কিংবা যাদের দেহাবশেষও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাদের খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্স কাজ শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এক্স একাউন্টে লিখেছেন, “একটা বড় বোঝা লাঘব হয়েছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতদের ফেরত দেওয়া হয়নি! দ্বিতীয় ধাপ এখনই শুরু হচ্ছে।”

যুদ্ধবিরতি মোটামুটি বজায় থাকলেও মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পূর্ব গাজা ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে আলাদা দুটি ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছে। গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা।