ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ অবসানের নিশ্চয়তা চায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, নেতানিয়াহুর কণ্ঠে ভিন্ন সুর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার

মিসরে ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যুদ্ধের অবসান ও গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জিম্মি মুক্তির শেষ ধাপের মধ্যেই উপত্যকা থেকে চূড়ান্তভাবে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন হামাস কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মিসরের শারম আল শেখ শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো পরোক্ষ আলোচনায় বসে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা।

এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

মিশরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-কাহেরা নিউজের মতে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, হামাস ‘এক সেকেন্ডের জন্যও দখলদারিত্বের ওপর আস্থা রাখে না’।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগের দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে এবং পুনরায় শুরু হবে না- হামাস এর ‘প্রকৃত গ্যারান্টি’ চায়।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিম্মিমুক্তির পর ‘ইসরাইল গাজায় পুনরায় হামলা করবে না’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথায় তেমন কোনো ইঙ্গিত বা নিশ্চয়তার আভাস মেলেনি। তিনি ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যাতে, হামাসই গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল বলে উল্লেখ করেন এবং গত দুই বছরের সংঘাতকে ‘ইসরাইলের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার দিকে সরাসরি ইঙ্গিত না করেই নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল ‘সিদ্ধান্তের এক দুর্ভাগ্যজনক দিনে’ প্রবেশ করছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘ইসরাইল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে- সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজা যাতে আর ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা’।সূত্র: আল জাজিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যুদ্ধ অবসানের নিশ্চয়তা চায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, নেতানিয়াহুর কণ্ঠে ভিন্ন সুর

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

মিসরে ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যুদ্ধের অবসান ও গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জিম্মি মুক্তির শেষ ধাপের মধ্যেই উপত্যকা থেকে চূড়ান্তভাবে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন হামাস কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মিসরের শারম আল শেখ শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো পরোক্ষ আলোচনায় বসে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা।

এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রতিনিধিরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

মিশরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল-কাহেরা নিউজের মতে, হামাসের শীর্ষ আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, হামাস ‘এক সেকেন্ডের জন্যও দখলদারিত্বের ওপর আস্থা রাখে না’।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগের দুটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হবে এবং পুনরায় শুরু হবে না- হামাস এর ‘প্রকৃত গ্যারান্টি’ চায়।

এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিম্মিমুক্তির পর ‘ইসরাইল গাজায় পুনরায় হামলা করবে না’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কথায় তেমন কোনো ইঙ্গিত বা নিশ্চয়তার আভাস মেলেনি। তিনি ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণের বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। যাতে, হামাসই গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল বলে উল্লেখ করেন এবং গত দুই বছরের সংঘাতকে ‘ইসরাইলের অস্তিত্ব এবং ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার দিকে সরাসরি ইঙ্গিত না করেই নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল ‘সিদ্ধান্তের এক দুর্ভাগ্যজনক দিনে’ প্রবেশ করছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘ইসরাইল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে- সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজা যাতে আর ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা’।সূত্র: আল জাজিরা।