ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাটের ওপরে আইএসে জঙ্গি, নীচে লুকিয়ে ছাত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬
  • ২৩১ বার

‘‌মা আমাকে ফোন করো না। আই এস জঙ্গিদের সঙ্গে একঘরে আটকে রয়েছি।’ বার্তা মোনালি আতাল্লা নামে এক যুবতীর। দু’‌বছর আগে মোসুল এবং পাশের কারাকোশ শহর যখন দখল করে আইএস জঙ্গিরা, তখন সেখান থেকে পালিয়ে কিরকুকে চলে আসে আতাল্লা সহ আরও ছয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাত্রী।

কিন্তু কয়েকশো আইএস জঙ্গি আচমকা আক্রমণ করে বসে ইরাকে তৈল শহর কিরকুকে। সেনা ও পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে আতাল্লাদের বাড়িটিতে আশ্রয় নেয় কয়েকজন জঙ্গি। যে ঘরে সন্ত্রাসবাদীরা ঢুকে পড়েছিল, সেই

ঘরের খাটের তলায় লুকিয়ে ছিল আতাল্লা সহ বাকিরা। চারিদিকে অন্ধকার থাকায় জঙ্গিরা কেউই ওই মেয়েদের হদিশ পায়নি। সেসময়ই মোনালি তার মাকে এই মেসেজটি পাঠিয়েছিল, যাতে কোনও ভাবে ফোনটি না বেজে ওঠে।

কারণ একবার ধরা পড়লে জঙ্গিরা প্রথমে (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করতো পরে প্রাণে মেরে ফেলত ওই ছাত্রীদের। এখনও সেই রাতের স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় আতাল্লাকে। একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছে সে নিজে।

সে জানায়,‘ওই ঘরে জঙ্গিদের উপস্থিতি আমরা প্রত্যেকটি মুহূর্তে টের পেয়েছিলাম। এমনকী তাদের কথায় বোঝা যাচ্ছিল সংঘর্ষে দু’‌জন জঙ্গি আহত হয়েছিল। খুব নীচু স্বরে‌ তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। আমরা খাটের তলায় ছিলাম। চারিদিক অন্ধকার থাকায় আমাদের উপস্থিতি কেউ টের পায় নি। তবে এক সময় তাদের একজনের পা আমার কাঁধে লাগে। সেসময় সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম।’

কিন্তু কীভাবে ওই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তারা?‌ আতাল্লা জানায়, অনেকক্ষণ পর জঙ্গিরা চলে যায়। পরদিন সকালে কিরকুকের বিশেষ পুলিশ বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। ‌‌‌আজকাল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খাটের ওপরে আইএসে জঙ্গি, নীচে লুকিয়ে ছাত্রী

আপডেট টাইম : ১২:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬

‘‌মা আমাকে ফোন করো না। আই এস জঙ্গিদের সঙ্গে একঘরে আটকে রয়েছি।’ বার্তা মোনালি আতাল্লা নামে এক যুবতীর। দু’‌বছর আগে মোসুল এবং পাশের কারাকোশ শহর যখন দখল করে আইএস জঙ্গিরা, তখন সেখান থেকে পালিয়ে কিরকুকে চলে আসে আতাল্লা সহ আরও ছয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাত্রী।

কিন্তু কয়েকশো আইএস জঙ্গি আচমকা আক্রমণ করে বসে ইরাকে তৈল শহর কিরকুকে। সেনা ও পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে আতাল্লাদের বাড়িটিতে আশ্রয় নেয় কয়েকজন জঙ্গি। যে ঘরে সন্ত্রাসবাদীরা ঢুকে পড়েছিল, সেই

ঘরের খাটের তলায় লুকিয়ে ছিল আতাল্লা সহ বাকিরা। চারিদিকে অন্ধকার থাকায় জঙ্গিরা কেউই ওই মেয়েদের হদিশ পায়নি। সেসময়ই মোনালি তার মাকে এই মেসেজটি পাঠিয়েছিল, যাতে কোনও ভাবে ফোনটি না বেজে ওঠে।

কারণ একবার ধরা পড়লে জঙ্গিরা প্রথমে (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করতো পরে প্রাণে মেরে ফেলত ওই ছাত্রীদের। এখনও সেই রাতের স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় আতাল্লাকে। একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছে সে নিজে।

সে জানায়,‘ওই ঘরে জঙ্গিদের উপস্থিতি আমরা প্রত্যেকটি মুহূর্তে টের পেয়েছিলাম। এমনকী তাদের কথায় বোঝা যাচ্ছিল সংঘর্ষে দু’‌জন জঙ্গি আহত হয়েছিল। খুব নীচু স্বরে‌ তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। আমরা খাটের তলায় ছিলাম। চারিদিক অন্ধকার থাকায় আমাদের উপস্থিতি কেউ টের পায় নি। তবে এক সময় তাদের একজনের পা আমার কাঁধে লাগে। সেসময় সত্যিই খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম।’

কিন্তু কীভাবে ওই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তারা?‌ আতাল্লা জানায়, অনেকক্ষণ পর জঙ্গিরা চলে যায়। পরদিন সকালে কিরকুকের বিশেষ পুলিশ বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। ‌‌‌আজকাল