বাংলাদেশের একুশ, কিশোরগঞ্জের পঞ্চম তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ

স্বাধীনতার ৪৫ বছরে ২০ জন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের মাঝে ৪ জনই কিশোরগঞ্জের। বর্তমান রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ ২০১৩-মার্চ থেকে ২০১৩ এপ্রিল (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি) ছিলেন।

দেশের ২১তম, কিমোরগঞ্জে ৫ম রাষ্ট্রপতি হিসাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম শুনা যাচ্ছে। আগামী বছরই বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি দুবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্যপুত্র সৈয়দ আশরাফকে বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষের পর দেশের রাষ্ট্রপতি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। তার বাস্তবায়ন হলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হবে দেশের ২১তম, কিমোরগঞ্জে ৫ম রাষ্ট্রপতি ।
বাংলাদেশের একুশ কিমোরগঞ্জের পঞ্চম তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফুল!

বাংলাদেশের একুশ কিমোরগঞ্জের পঞ্চম তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফুল!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম: (জন্ম: ১৯২৫- মৃত্যু:নভেম্বর ৩, ১৯৭৫) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ – ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মো. জিল্লুর রহমান: (জন্ম: মার্চ ৯, ১৯২৯ – মৃত্যু: মার্চ ২০, ২০১৩) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ যাবৎ দেশের সবকয়টি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কৃতি সন্তান ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর্য মো. জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

অ্যাড: আব্দুল হামিদ: (জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৪৪) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি। তিনি নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে ২৫ জানুয়ারি, ২০০৯ সাল থেকে ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর মৃত্যুর ৬ দিন পূর্বেই ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে তিনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তাঁকে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা দিবস পদকে ভূষিত করা হয়। অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হলেন অদ্য ২৪.০৪.২০১৩ ইংরেজি তারিখ সন্ধ্যায় শপথ গ্রহন করেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি টানা দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জনাব আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের ১লা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি কাজে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বহুদেশ ভ্রমন করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর