আ. লীগের কমিটি: বেড়েছে নারী নেতৃত্ব

তিন দফায় ঘোষিত আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ পদে স্থান পেয়েছেন নারীরা। গত কমিটিতে নারী নেতৃত্বের হার ছিল ১১ শতাংশ। ক্ষমতাসীন দলটি ক্রমান্বয়ে কমিটিতে নারী নেতৃত্ব বাড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীতে সাতটি পদ এখনো খালি আছে। সেসব খালি রেখেই আওয়ামী লীগ ২০২০ সালের আগেই পূর্বের চেয়ে সাড়ে সাত শতাংশ নারী নেতৃত্ব বাড়িয়েছে।

দলটির নতুন কমিটি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০তম জাতীয় সম্মেলনে নতুন মুখ হিসেবে বেশ কয়েকজন নারী এবার পদ পেয়েছেন। দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, দলে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে দলপ্রধান শেখ হাসিনার সদিচ্ছা রয়েছে। ত্যাগী নেত্রীদের মূল্যায়নের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা পূরণে নারীদের এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন নারী তাদের নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। ফলে এবারের সম্মেলনে নারী নেতৃত্বের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।

তবে গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনের সংশোধিত গঠনতন্ত্রে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে অষ্টমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আগের কমিটির মতোই সভাপতিমণ্ডলীতে ৩ নারী স্থান পেয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এছাড়া দলের উপদেষ্টা পরিষদে ঠাঁই পেয়েছেন দুজন নারী। তারা হলেন- অধ্যাপক ড. হামিদা বানু ও অধ্যাপক সুলতানা শফি। সাংগঠনিক সম্পাদকে কোনো নারী না এলেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে আছেন ডা. দীপু মণি।

সম্পাদকমণ্ডলীতে চার জন নারী স্থান পেয়েছেন। পুরোনোদের মধ্যে কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন- শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।

আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছেন ৬ জন নারী। তারা হলেন- সিমিন হোসেন রিমি, মুন্নুজান সুফিয়ান, পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান, ড. শাম্মী আহমেদ, মারুফা আখতার পপি। এদের মধ্যে সিমিন হোসেন রিমি ও মুন্নুজান সুফিয়ান পূর্বের কমিটিতেও ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ২০০৯ (সংশোধিত) এর ৯০ বি ধারা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটিতে নারীদের জন্য কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ পদ নিশ্চিতের বিধান আছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন চালুর শর্ত মেনে রাজনৈতিক দলগুলো গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে ২০২০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ পদে নারীদের রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত ৮ বছরে এ শর্ত পূরণে অন্য দলগুলো তেমন উদ্যোগী না হলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নারীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ওই নিবন্ধনের পর ২০০৯ ও ২০১২ সালে সম্মেলন করেছিল দলটি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর