সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। আর সদ্যঘোষিত দলের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মাদারীপুর-শরীয়তপুরের আট নেতা। সরকারি দলের সর্বোচ্চ ফোরামে বেশিসংখ্যক নেতা স্থান পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত এ অঞ্চলের মানুষেরা। তারা বলছেন, মাদারীপুর-শরীয়তপুর বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। দলের দুঃসময়ে এ অঞ্চলের অনেক নেতাই হাল ধরেছেন। যার জন্য দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন।
আওয়ামী লীগের আট সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মাদীরাপুর-শরীয়তপুর অঞ্চলে। তাদের মধ্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়ি মাদরীপুরে। আর বিএম মোজাম্মেল হক এবং এ কে এম এনামুল হক শামীম শরীয়তপুরের সন্তান।
অন্যদিকে দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবশে বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি মাদারীপুরে। কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনও এ এলাকার সন্তান। আরেক কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর বাড়ি শরীয়তপুরে।
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রব মুন্সী বলেন, ‘নেত্রী আমাদের এলাকার মানুষকে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত। নেত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অভিনন্দন জানাই।’
আবদুল মজিদ নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, ‘মাদারীপুর-শরীয়তপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে বরাবরই পরিচিত। প্রায় সব জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আমাদের অঞ্চলের আটজন নেতাকে মূল্যায়ন করেছেন। যা আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার অনেক বড় উপহার।’
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এবার হ্যাটট্রিক করলেন বিএম মোজ্জাম্মেল হক এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সদ্য সাবেক কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীমকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ টানা চারবারের মতো এ দায়িত্বে আছেন।
প্রথমবারের মতো দলের কার্যনির্বাহী পরিষদে স্থান পেয়েছেন দেলোয়ার হোসেন, ইকবাল হোমেন অপু, আনোয়ার হোসেন। দেলোয়ার হোসেনকে দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।