প্রেসিডিয়ামে ৩ পদ শূন্য সামনে মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে যাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার মন্ত্রিসভা রদবদল করতে যাচ্ছেন। দলের জাকজমপূর্ণ মহাসম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নির্বাচনি রাজনীতি সামনে রেখে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন শক্তিশালী করার উপযোগী ওয়াকিং কমিটি উপহার দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সরকার ও মাঠের কর্মঠ, মেধাবী, ইতিবাচক রাজনীতির মূখপাত্র ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচিত করে সম্পাদকমণ্ডলীতে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যই রাখেননি। এমনকি প্রেসিডিয়োমেও তাদেরকেই নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যাদের সবাই ফুলটাইম দলকে সময় দেবেন। কেন্দ্রীয়ভাবেই নয়, তৃণমূল পর্যন্ত সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগামী দিনের লক্ষ্য অর্জনের কর্মসূচি ব্যাপক প্রচার ঘটিয়ে জনমত পক্ষে টানতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়াম এবং ওয়াকিং কমিটির নেতারা যাতে বিভাগওয়ারী, অঞ্চলভিত্তিক দলকে সুসংগঠিতই নয়; জনগণের হৃদয় জয় করে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজাগরণ ঘটাতে পারেন নির্বাচন সামনে রেখে, সেই রোডম্যাপই দিয়েছেন। আর সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজের দক্ষদের ঠাঁই দেবেন। ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে সরকারে রক্ত সাঞ্চালনই নয় মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামে ৩টি পদ শূন্য রাখা হয়েছে মন্ত্রিসভা রদবদল সামনে রেখে। ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াদের প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এমনকি দুইবারের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুরকেও এবারের সাংগঠনিক বা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়নি। কারণ একটাই তিনি মন্ত্রিসভায় আছেন।

অনেকে ধারণা করেছিলেন, টানা ৫ বারের নির্বাচিত এমপি যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমকে এবার সাংগঠনিক বা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হতে পারে। কিন্তু এবারের কাউন্সিলে তাকে সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা হয়নি, কারণ তিনি মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। মন্ত্রিসভা থেকে প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেয়েছেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম নাহিদ। কিন্তু সম্পাদকমণ্ডলীতে কোনো মন্ত্রী ঠাঁই পাননি। কারণ সম্পাদকমণ্ডলীকে ঘিরেই এবার পরিচালিত হবে সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড।

৬ নভেম্বর নবগঠিত ওয়াকিং কমিটি জাতির জনকের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য টুঙ্গিপাড়া যাবেন। ৮ নভেম্বর ওয়াকিং কমিটির প্রথম বৈঠকেই বিভিন্ন টিম গঠন করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের আগেই যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মন্ত্রিসভায় রদবদল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর