মব সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হানিফ মিয়াকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (২৩ জুন) সেনাবাহিনী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
ডিসি বলেন, নূরুল হুদাকে আটকের সময় গণজমায়েতের মাধ্যমে মব সৃষ্টি করে হেনস্তার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ। এসময় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গ্রেফতারকৃত নূরুল হুদাকে সেই দিনে রাতেই ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হানিফ মিয়াকে সেনাবাহিনীর একটি দল আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় অতি উৎসাহিত হয়ে যারা দেশের আইন অমান্য করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।’
এদিকে গতকাল রাতেই সরকারের প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় “মব” কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। সরকার দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আবারও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সকল ব্যক্তির বিচার দেশের আইন মেনে হবে এবং বিচারাধীন বিষয় ও ব্যক্তির ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও ফৌজদারি অপরাধ। “মব” সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সকলকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল নাগরিককে সহনশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।