কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় রোপা আমন ধানে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা করছে কৃষকরা। তাই ফসল ঘরে তোলার আগেই কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। হাওরের প্রবেশদ্বার বলে সুপরিচিত বাজিতপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৬০% এলাকায় বর্ষা মৌসুমে রোপা আমন ধান আবাদ উপযোগী না হওয়ায় চাষ করা সম্ভব হয় না। এবছর উপজেলার পৌরশহরসহ সরারচর, হালিমপুর, পিরিজপুর ইউনিয়ন ও আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের উঁচু অঞ্চলে আমন ধান আবাদ হয়েছে।
বাজিতপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় আশি হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু জমিতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ হলেও রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের মনে তেমন প্রভাব পড়েনি। সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় পুরো উদ্দ্যমে কৃষকরা রোপা আমন চাষ করেছে।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর রোপা আমন ধানে ভাল ফলন হবে বলে আশাবাদী। সময় ও অসময়ে বৃষ্টির কারণে আমাদের জমিতে তেমন সেচ দিতে হয়নি। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে আমরা সার, কীটনাশক ডিলার ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রয় করে এনে প্রয়োগ করতে পেরেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা ধান কাটা শুরু করব।