ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ৩ দিনে ৬ জনের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৩১ বার

ঈদের ১০ দিনের ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজারে সমাগম হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটকের। কিন্তু, এ আনন্দে ছেদ ফেলেছে সাগরে গোসলে নেমে বাবা-ছেলেসহ ৩ দিনে ৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা। তা ঈদ আনন্দকে বিষাদে পরিণত হয়েছে অনেকের জন্য। সাগরে নিয়ম মেনে গোসলে নামা ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ লাইফ গার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সচেতনরা।

জানা যায়, টানা ১০ দিনের ছুটিতে ভ্রমন পিপাসুদের অনেকে ছুটে যান সৈকত শহর কক্সবাজারে। গত দেড় মাসে বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটিতে নামে পর্যটকের ঢল। এমন আনন্দঘন সময়েই ৬ পর্যটকের মৃত্যু। ৯ জুন কলাতলীতে সায়মন বিচ পয়েন্টে গোসলে নেমে মৃত্যু হয় রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়া বাবা শাহীনুর রহমান ও ছেলে সিফাতের। এর আগের দিন সীগাল ও লাবনী পয়েন্টে গোসলে নেমে আরও ৪ পর্যটকের মৃত্যু হয়।

এদিকে, সৈকতে লাইফ গার্ডকর্মীরা মাইকে দিক নির্দেশনা দিলেও কারো কারো মধ্যে তা না মানার প্রবণতা।

এদিকে, গত ১০ বছরে সাগরে গোসলে নেমে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৭৭৩ জন। এবার মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। জীবিত উদ্ধার করা গেছে ৩৮ জনকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সৈকতজুড়ে উদ্ধারকর্মী রয়েছেন মাত্র ২৭ জন। নিয়মিত দিক নির্দেশনার পরও এমন দুঃখজনক ঘটনার জন্য কিছু অতি উৎসাহী পর্যটকের গাফিলতিকে দূষছে প্রশাসন। অন্যদিকে, মৃত্যুরোধে ও পর্যটক সেবায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি দেখছেন সৈকতনগরীর সচেতনরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ৩ দিনে ৬ জনের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ঈদের ১০ দিনের ছুটিতে সৈকত শহর কক্সবাজারে সমাগম হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটকের। কিন্তু, এ আনন্দে ছেদ ফেলেছে সাগরে গোসলে নেমে বাবা-ছেলেসহ ৩ দিনে ৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা। তা ঈদ আনন্দকে বিষাদে পরিণত হয়েছে অনেকের জন্য। সাগরে নিয়ম মেনে গোসলে নামা ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ লাইফ গার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সচেতনরা।

জানা যায়, টানা ১০ দিনের ছুটিতে ভ্রমন পিপাসুদের অনেকে ছুটে যান সৈকত শহর কক্সবাজারে। গত দেড় মাসে বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটিতে নামে পর্যটকের ঢল। এমন আনন্দঘন সময়েই ৬ পর্যটকের মৃত্যু। ৯ জুন কলাতলীতে সায়মন বিচ পয়েন্টে গোসলে নেমে মৃত্যু হয় রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়া বাবা শাহীনুর রহমান ও ছেলে সিফাতের। এর আগের দিন সীগাল ও লাবনী পয়েন্টে গোসলে নেমে আরও ৪ পর্যটকের মৃত্যু হয়।

এদিকে, সৈকতে লাইফ গার্ডকর্মীরা মাইকে দিক নির্দেশনা দিলেও কারো কারো মধ্যে তা না মানার প্রবণতা।

এদিকে, গত ১০ বছরে সাগরে গোসলে নেমে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৭৭৩ জন। এবার মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। জীবিত উদ্ধার করা গেছে ৩৮ জনকে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সৈকতজুড়ে উদ্ধারকর্মী রয়েছেন মাত্র ২৭ জন। নিয়মিত দিক নির্দেশনার পরও এমন দুঃখজনক ঘটনার জন্য কিছু অতি উৎসাহী পর্যটকের গাফিলতিকে দূষছে প্রশাসন। অন্যদিকে, মৃত্যুরোধে ও পর্যটক সেবায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি দেখছেন সৈকতনগরীর সচেতনরা।