খাঁচার টিয়া ফাঁস করল গৃহকর্তার পরকীয়া

গৃহকর্মীর সঙ্গে গোপন পরকীয়ায় মজেছেন গৃহকর্তা। ভেবেছিলেন স্ত্রীর অগোচরে এই পরকীয়ার কোনো সাক্ষী নেই। নির্দ্বিধায় চলছিল তাদের এ কাজ। কিন্তু, ঘরের শত্রু যে বিভীষণ, তা তিনি জানতেন না। আর সেই বিভীষণ যে এমন আকারে থাকতে পারে তাও বোধগম্যের বাইরে ছিল।সকালের নাস্তার টেবিলে বসেছেন স্বামী-স্ত্রী। আচমকাই খাঁচাবন্দি টিয়া কথা বলতে শুরু করেছে। শুধু কথা নয়, পুরুষ ও নারীর যৌনতায় ভরা কথোপকথন। টিয়ার কথোপকথন শুনে স্ত্রীর চোখ কপালে। কারণ, কথোপকথনের মধ্যে থাকা নারী যে বাড়ির কাজের মেয়ে, তাও বলছিল টিয়া পাখিটি। টিয়া পাখির এমনকাণ্ডে হতভম্ভ গৃহকর্তা। এভাবে হাটে হাড়ি ভেঙে যাবে তা ভাবতে পারেননি তিনি।

এদিকে, স্ত্রী বহুদিন ধরেই সন্দেহ করছিলেন স্বামীকে। কারণ, বাড়ির কাজের মেয়ের সঙ্গে স্বামীর যে পরকীয়া আছে তার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন স্ত্রী। শুধু অভাব হচ্ছিল অকাট্য প্রমাণের। টিয়ার এই কথোপকথনে এবার যেন হাতে প্রমাণ পেয়ে যান স্ত্রী। কুয়েতের এমন ঘটনা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম আল শাহাদ ডেইলি।

জানা গেছে, কুয়েতে পরকীয়া আইনত অপরাধ। যার কারণে স্ত্রী টিয়াকে নিয়ে সোজা চলে যান থানায়। পুলিশের সামনেও টিয়া পাখিটি যৌন উত্তেজনায় ভরপুর কথোপকথন শুনায়।

কিন্তু, পুলিশের বক্তব্য, টিয়া পাখির এই কথা শুনে স্বামীকে অভিযুক্ত করা যায় না। কারণ, টিয়া পাখিটি টিভিতে কোনও সিনেমা বা সিরিয়াল দেখে এইসব কথা যে বলছে না, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না।

পুলিশের এই অবস্থানে স্বাভাবিকভাবেই ভাগ্যজোরে বেঁচেছেন স্বামী। জেলে যাওয়াটা না হয় কোনওভাবে আটকেছে। কিন্তু স্ত্রীর রক্তচক্ষুর হাত থেকে আদৌ কি তিনি বাঁচতে পারলেন? সূত্র: এবেলা

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর