ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ১১ বার

বিয়ে মানেই যে সবকিছু সহজভাবে চলতে থাকবে, এমন কিছু নয়। বরং অন্যান্য অনেক সম্পর্কের মতোই এই সম্পর্কেও নানা টানাপোড়েন থাকতে পারে। কাজ, দায়িত্ব, চাপ, এমনকি অভিভাবকত্বও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অঘোষিত দূরত্ব নিয়ে আসতে পারে। সেই দূরত্ব মোটেও অলঙ্ঘনীয় কিছু নয়। তবে তা দূর করতে সচেতন হতে হবে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই।

বিয়ের কিছু বছর পর গিয়ে মনে হতে পারে যে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে আগের মতো ভালোবাসছেন না বা আগের মতো টান অনুভব করছেন না একজন আরেকজনের জন্য। এমনটা হতেই পারে। এ ধরনের সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয় না। একটু একটু করে তৈরি হয়। তাই একদিনেই এর সমাধান হবে না। বরং দুজনকে সচেষ্ট হয়ে সমাধান করতে হবে। একটু একটু করে আবার শুরুর দিনগুলোর মতো ভালোবাসা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

কোয়ালিটি টাইম কাটান

একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো সম্পর্কে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন বা একটি সন্ধ্যা কেবল একে অপরের জন্য আলাদা করে রাখার অভ্যাস করুন- যেখানে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এটি ডেট নাইট, বাড়িতে নিরিবিলি ডিনার, কাছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো সহজ কিছু আয়োজন রাখতে পারেন। এর অর্থ হলো একে অপরের ওপর মনোযোগ দেওয়া এবং একটি ব্যস্ত সপ্তাহের পরে কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটানো।

মন খুলে কথা বলুন

মন খুলে কথা বলতে পারলে কোনো সম্পর্কই খারাপ হতে পারে না। ভালোবাসা ম্লান হতে শুরু করে কারণ স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মন খুলে কথা বলতে পারেন না। শুধু বলা না, সঙ্গীর কথাগুলোও আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আপনার অনুভূতি, চাহিদা এবং উদ্বেগ সবকিছু তাকে খুলে বলুন। তবে সেসব কথা বলার জন্য উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ খুঁজে নিন।

প্রতিদিন মমতা প্রকাশ করুন

ভালোবাসা এবং মায়ার ছোট ছোট কাজও বিয়ের সম্পর্ককে সুন্দর করে। উষ্ণ আলিঙ্গন, হাত ধরা, প্রশংসা, অথবা ঘন ঘন ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলার মতো অভ্যাসগুলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে ম্লান হতে দেয় না। তার দিকে সুন্দর করে তাকানো, একটু মিষ্টি করে হাসা- এ ধরনের ছোট ছোট আচরণ বড় পার্থক্য নিয়ে আসবে। বয়স বাড়লেও কমবে না আপনাদের ভালোবাসা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ০১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বিয়ে মানেই যে সবকিছু সহজভাবে চলতে থাকবে, এমন কিছু নয়। বরং অন্যান্য অনেক সম্পর্কের মতোই এই সম্পর্কেও নানা টানাপোড়েন থাকতে পারে। কাজ, দায়িত্ব, চাপ, এমনকি অভিভাবকত্বও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অঘোষিত দূরত্ব নিয়ে আসতে পারে। সেই দূরত্ব মোটেও অলঙ্ঘনীয় কিছু নয়। তবে তা দূর করতে সচেতন হতে হবে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই।

বিয়ের কিছু বছর পর গিয়ে মনে হতে পারে যে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে আগের মতো ভালোবাসছেন না বা আগের মতো টান অনুভব করছেন না একজন আরেকজনের জন্য। এমনটা হতেই পারে। এ ধরনের সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয় না। একটু একটু করে তৈরি হয়। তাই একদিনেই এর সমাধান হবে না। বরং দুজনকে সচেষ্ট হয়ে সমাধান করতে হবে। একটু একটু করে আবার শুরুর দিনগুলোর মতো ভালোবাসা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

কোয়ালিটি টাইম কাটান

একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো সম্পর্কে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন বা একটি সন্ধ্যা কেবল একে অপরের জন্য আলাদা করে রাখার অভ্যাস করুন- যেখানে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এটি ডেট নাইট, বাড়িতে নিরিবিলি ডিনার, কাছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো সহজ কিছু আয়োজন রাখতে পারেন। এর অর্থ হলো একে অপরের ওপর মনোযোগ দেওয়া এবং একটি ব্যস্ত সপ্তাহের পরে কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটানো।

মন খুলে কথা বলুন

মন খুলে কথা বলতে পারলে কোনো সম্পর্কই খারাপ হতে পারে না। ভালোবাসা ম্লান হতে শুরু করে কারণ স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মন খুলে কথা বলতে পারেন না। শুধু বলা না, সঙ্গীর কথাগুলোও আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আপনার অনুভূতি, চাহিদা এবং উদ্বেগ সবকিছু তাকে খুলে বলুন। তবে সেসব কথা বলার জন্য উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ খুঁজে নিন।

প্রতিদিন মমতা প্রকাশ করুন

ভালোবাসা এবং মায়ার ছোট ছোট কাজও বিয়ের সম্পর্ককে সুন্দর করে। উষ্ণ আলিঙ্গন, হাত ধরা, প্রশংসা, অথবা ঘন ঘন ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলার মতো অভ্যাসগুলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে ম্লান হতে দেয় না। তার দিকে সুন্দর করে তাকানো, একটু মিষ্টি করে হাসা- এ ধরনের ছোট ছোট আচরণ বড় পার্থক্য নিয়ে আসবে। বয়স বাড়লেও কমবে না আপনাদের ভালোবাসা।