ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চামড়ার কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি, বঞ্চিত রইল গরিবরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • ১২ বার

অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কিছুটা বেশি হলেও তা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম। রাজধানীতে লবণ ছাড়া বড় এবং মাঝারি আকারের গরুর কাঁচা চামড়া ৬০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর যেসব গরুর চামড়া আকারে তুলনামূলক ছোট এবং মান কিছুটা খারাপ, সেগুলোর দাম ছিল ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার বাইরের বাজারে চামড়ার দাম আরও কম।

লবণযুক্ত চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম গতবারের চেয়ে এবার ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০-৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় নির্ধারিত দামের অর্ধেক মূল্যে কেনাবেচা হয়েছে গরুর চামড়া।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির টাকা সাধারণত গরিব, অসহায় ও মিসকিনদের সাহায্য করার জন্য দেওয়া হয়। চামড়ার দাম যত কম হয়, ততই এ টাকা থেকে গরিবদের সাহায্য কম পৌঁছায় এবং তারা বঞ্চিত হয়।

যদিও গত কয়েক বছরের মতো এবারও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়া বিক্রি করে তারা ন্যায্য মূল্য পাননি। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এবারের দাম গত বছরের চেয়েও কম ছিল।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গরু কোরবানি দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামের একজন। এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় গরু কিনেছিলেন তিনি। কোরবানির পর এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন।

সাইফুল ইসলাম জানান, ৫০০ টাকার বেশি দিতেই চায় না। এই অর্থ গরিবের হক। তাই কয়েকজনের সঙ্গে দরদাম করে শেষে বিক্রি করলাম তাও মাত্র ৬৫০ টাকা। একটা ছাগলের চামড়া ছিল কেউ কেনেনি, পরে বিনামূল্যে দিয়ে দিয়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চামড়ার কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি, বঞ্চিত রইল গরিবরা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কিছুটা বেশি হলেও তা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম। রাজধানীতে লবণ ছাড়া বড় এবং মাঝারি আকারের গরুর কাঁচা চামড়া ৬০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর যেসব গরুর চামড়া আকারে তুলনামূলক ছোট এবং মান কিছুটা খারাপ, সেগুলোর দাম ছিল ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। ঢাকার বাইরের বাজারে চামড়ার দাম আরও কম।

লবণযুক্ত চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম গতবারের চেয়ে এবার ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০-৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় নির্ধারিত দামের অর্ধেক মূল্যে কেনাবেচা হয়েছে গরুর চামড়া।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির টাকা সাধারণত গরিব, অসহায় ও মিসকিনদের সাহায্য করার জন্য দেওয়া হয়। চামড়ার দাম যত কম হয়, ততই এ টাকা থেকে গরিবদের সাহায্য কম পৌঁছায় এবং তারা বঞ্চিত হয়।

যদিও গত কয়েক বছরের মতো এবারও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়া বিক্রি করে তারা ন্যায্য মূল্য পাননি। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এবারের দাম গত বছরের চেয়েও কম ছিল।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গরু কোরবানি দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামের একজন। এক লাখ ৭০ হাজার টাকায় গরু কিনেছিলেন তিনি। কোরবানির পর এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন।

সাইফুল ইসলাম জানান, ৫০০ টাকার বেশি দিতেই চায় না। এই অর্থ গরিবের হক। তাই কয়েকজনের সঙ্গে দরদাম করে শেষে বিক্রি করলাম তাও মাত্র ৬৫০ টাকা। একটা ছাগলের চামড়া ছিল কেউ কেনেনি, পরে বিনামূল্যে দিয়ে দিয়েছি।