ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ২০ বার
জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ২০২৬ সালের জুনের পরে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয় নিশ্চিত করেননি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দি ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।

তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনো দুর্বল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভঙ্গুর রয়েছে। বিপ্লবের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।তিনি বলেন, `ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করবে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুলে দেবে এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়তা করবে।

তবে ঐক্যে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয়। কোন কোন কমিশন থাকা উচিত, তা নিয়েই রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য শুরুতেই রয়েছে।’ কেউ কেউ বলছেন, দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কারো অভিযোগ, শিক্ষা খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা অনেক পরে গঠিত হয়।
এই কমিশন ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করে, যাতে নারীদের অধিক অধিকার দেওয়া হয়, আর এতেই ইসলামপন্থী দলগুলো ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে।ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ ইস্যুতে বলা হয়, ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তবে ২০২৬ সালের জুনের পরে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না, সে বিষয় নিশ্চিত করেননি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দি ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।

তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনো দুর্বল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভঙ্গুর রয়েছে। বিপ্লবের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।তিনি বলেন, `ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করবে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুলে দেবে এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়তা করবে।

তবে ঐক্যে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয়। কোন কোন কমিশন থাকা উচিত, তা নিয়েই রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য শুরুতেই রয়েছে।’ কেউ কেউ বলছেন, দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাক খাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কারো অভিযোগ, শিক্ষা খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা অনেক পরে গঠিত হয়।
এই কমিশন ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করে, যাতে নারীদের অধিক অধিকার দেওয়া হয়, আর এতেই ইসলামপন্থী দলগুলো ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে।ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ ইস্যুতে বলা হয়, ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।