ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা উপদেষ্টা মাহফুজকে লাঞ্ছিত করায় হাসনাতের ক্ষোভ জনদাবির মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দেওয়ার আচরণ সন্দেহজনক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শওকত ওসমানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা বৃষ্টিতে ভিজে শাহবাগে আন্দোলন করছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা ইউক্রেন যুদ্ধ তুরস্কে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প

বিশ্ব মা দিবস আজ মায়ের জন্য মায়াভরা দিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৮ বার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আজ ছড়িয়ে পড়বে মাকে নিয়ে আবেগভরা কথামালা, স্মৃতিময় নানা ছবি, আবেগ জগানো দুটি পঙক্তি, অনুভূতির নিভৃত কোণে নাড়া দেওয়া কোনো ভিডিও।

প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটি এভাবেই আসে। বিশ্বজুড়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, ছন্দোময় শৈশব-কৈশোর—এসবের পেছনে মায়ের অবদান অপরিসীম।

তাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা, আনত সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশেও কুণ্ঠা নেই কারো। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ লাগে না। হৃদয়ের গভীর থেকে প্রতি মুহূর্তে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আসে মানুষের। এর পরও সারা বিশ্বে আজকের দিনটি শুধুই মায়ের জন্য নিবেদিত।

আজকের দিনটিকে বলা যায় মা-ময় রবিবার। মায়ের জন্য মায়াভরা দিন। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয় মা দিবস হিসেবে। মা মানে অসীম ভালোবাসা।

কবি কাজী কাদের নেওয়াজের কবিতার ভাষায়, ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি/কিন্তু জেনো ভাই/ইহার চেয়ে নাম যে মধুর/তিন ভুবনে নাই।’

সন্তানের কাছে প্রতিটি মা-ই জগতের সবচেয়ে সেরা মানুষ। মা মানেই পরম শান্তির আধার ও ছায়ামাধুর্য। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যেখানেতে দেখি যাহা/মা-এর মতন আহা/একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,/মায়ের মতন এত/আদর সোহাগ সে তো/আর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!’

অনেকে এদিন মায়ের জন্য নানা রকম উপহার কেনেন। কেউ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটেন।

কেউ এক গোছা ফুল তুলে দেন মায়ের হাতে। মায়ের গায়ে গা লাগিয়ে সামান্য সময়ের জন্য হলেও বসে থাকতে চান কেউ কেউ। দূরে থাকলে ফোন করেন। অকারণে আলাপ দীর্ঘ করেন। আর যাঁদের মা চলে গেছেন চিরদিনের জন্য, তাঁরা নিভৃতে কাঁদেন, মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

হৃদয়ের আকুল অনুভূতি দিয়ে মাকে অনুভব করেন তাঁরা। মনে পড়ে মায়ের গন্ধ। মায়ের আঁচলের ছায়ার স্নিগ্ধতা। সন্তানের জন্য মায়ের কত যে আত্মত্যাগ, কত যে বিসর্জন, তা-ও মনের কোণে উঁকি দিয়ে যায়। বিদগ্ধ করে। মায়ের জন্য কিছু করতে না পারার অক্ষমতার কথা মনে পড়ে, কান্না আসে। বিশ্ব মা দিবসের এই দিনটি তাই ব্যস্ত জীবনে অন্য রকম গুরুত্ব বহন করে।

বিবিসি বলছে, আধুনিককালের এই মা দিবসের ধারণাটা আসে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার বাসিন্দা আনা জারভিসের মাথা থেকে। তাঁর মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিবাদী সমাজকর্মী। ১৯০৫ সালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃতু্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করেন।

পৃথিবীর সব মাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস প্রচলনের চেষ্টা করেন। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় মায়ের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান করেন আনা। সে বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। অদম্য আনা তাঁর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে।

অবশেষে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া

বিশ্ব মা দিবস আজ মায়ের জন্য মায়াভরা দিন

আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আজ ছড়িয়ে পড়বে মাকে নিয়ে আবেগভরা কথামালা, স্মৃতিময় নানা ছবি, আবেগ জগানো দুটি পঙক্তি, অনুভূতির নিভৃত কোণে নাড়া দেওয়া কোনো ভিডিও।

প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটি এভাবেই আসে। বিশ্বজুড়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, ছন্দোময় শৈশব-কৈশোর—এসবের পেছনে মায়ের অবদান অপরিসীম।

তাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা, আনত সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশেও কুণ্ঠা নেই কারো। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ লাগে না। হৃদয়ের গভীর থেকে প্রতি মুহূর্তে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আসে মানুষের। এর পরও সারা বিশ্বে আজকের দিনটি শুধুই মায়ের জন্য নিবেদিত।

আজকের দিনটিকে বলা যায় মা-ময় রবিবার। মায়ের জন্য মায়াভরা দিন। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয় মা দিবস হিসেবে। মা মানে অসীম ভালোবাসা।

কবি কাজী কাদের নেওয়াজের কবিতার ভাষায়, ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি/কিন্তু জেনো ভাই/ইহার চেয়ে নাম যে মধুর/তিন ভুবনে নাই।’

সন্তানের কাছে প্রতিটি মা-ই জগতের সবচেয়ে সেরা মানুষ। মা মানেই পরম শান্তির আধার ও ছায়ামাধুর্য। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যেখানেতে দেখি যাহা/মা-এর মতন আহা/একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,/মায়ের মতন এত/আদর সোহাগ সে তো/আর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!’

অনেকে এদিন মায়ের জন্য নানা রকম উপহার কেনেন। কেউ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটেন।

কেউ এক গোছা ফুল তুলে দেন মায়ের হাতে। মায়ের গায়ে গা লাগিয়ে সামান্য সময়ের জন্য হলেও বসে থাকতে চান কেউ কেউ। দূরে থাকলে ফোন করেন। অকারণে আলাপ দীর্ঘ করেন। আর যাঁদের মা চলে গেছেন চিরদিনের জন্য, তাঁরা নিভৃতে কাঁদেন, মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

হৃদয়ের আকুল অনুভূতি দিয়ে মাকে অনুভব করেন তাঁরা। মনে পড়ে মায়ের গন্ধ। মায়ের আঁচলের ছায়ার স্নিগ্ধতা। সন্তানের জন্য মায়ের কত যে আত্মত্যাগ, কত যে বিসর্জন, তা-ও মনের কোণে উঁকি দিয়ে যায়। বিদগ্ধ করে। মায়ের জন্য কিছু করতে না পারার অক্ষমতার কথা মনে পড়ে, কান্না আসে। বিশ্ব মা দিবসের এই দিনটি তাই ব্যস্ত জীবনে অন্য রকম গুরুত্ব বহন করে।

বিবিসি বলছে, আধুনিককালের এই মা দিবসের ধারণাটা আসে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার বাসিন্দা আনা জারভিসের মাথা থেকে। তাঁর মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিবাদী সমাজকর্মী। ১৯০৫ সালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃতু্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করেন।

পৃথিবীর সব মাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস প্রচলনের চেষ্টা করেন। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় মায়ের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান করেন আনা। সে বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। অদম্য আনা তাঁর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে।

অবশেষে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।