জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা মদন উপজেলার আখাশ্রী গ্রামে সংঘর্ষে ইমাম হোসেন (৫৫) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যা মামলার জেরে আসামী পক্ষের ঘরবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বাদী পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে আখাশ্রী গ্রামে ফারুক গ্রুপ ও আমিনুল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমিনুলের ভাই ইমাম হোসেন নামের এক কৃষক নিহত হয়। এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল ফারুককে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়রে করেন। এরপর থকেইে বিবাদী পক্ষের পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে বিবাদীদের বাড়িঘর। এ সুযোগে আমিনুল গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাংচুর, বোরো ফসল লুটপাটসহ বিভিন্ন অপর্কম করে যাচ্ছে। বাড়িতে নারীরা বসবাস করলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে, গত ২১ এপ্রিল কয়েকজন নারী লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। এছাড়াও গত ২২ এপ্রিল আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি ভাংচুর ও লুটপাট মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তৃতীয় দফায় সাইকুল ইসলামের রাইস মিল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সাইকুলের বোন নাজমা আক্তার জানান, ১২ এপ্রিল ঝগড়ায় আমিনুল গ্রুপের একজন লোক নিহত হওয়ার পরে থেকে আমাদের লোকজনের বাড়িঘর একেরপর এক লুট করছে। ধানক্ষেত কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় (৩০ এপ্রিল) আমিনুলের লোকজন আমাদের মিলঘর ভাংচুর করে এবং যা কিছু ছিলো সব লুট করে নিয়ে গেছে। আমি প্রশাসানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
হত্যার মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম জানান, সাইকুলের মিলঘর কে বা কারা ভেঙ্গেছে তা আমার জানা নেই। যারা ভেঙ্গেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হউক।
মদন ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসনান জানান, নতুন করে কোনোকিছু ঘটে থাকলে জানা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। আগের ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে।
ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে ওসিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।