ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস পরীমনিকাণ্ডে বেনজীরের যোগ ছিল কিনা, যা বললেন নাসির কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের : ধর্ম উপদেষ্টা টাইম ম্যাগাজিনে হিলারি ক্লিনটনের কলামে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশংসা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখা যাবে যে চ্যানেলে টিপ-কাণ্ডে তিন বছর পর মামলা কেনিয়ায় চা-বাগান নিয়ে স্থানীয় ও বিদেশি এস্টেটগুলোর দ্বন্দ্ব, ক্ষতির মুখে শিল্প প্রতিদিন একটি কলা খাওয়া কাদের জন্য জরুরি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা, আলাদা হতে পারে ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ

কৃষিতে ভর্তুকি বাড়াতে বলছে মন্ত্রণালয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’

সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।

ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।

সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।

এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’

কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

কৃষিতে ভর্তুকি বাড়াতে বলছে মন্ত্রণালয়

আপডেট টাইম : ১১:০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’

সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।

ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।

সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।

এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’

কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।