মিরপুরের পর চট্টগ্রামও বাদ গেলো না। সেখানে মাশরাফি-বিলিংসের সংঘর্ষ! এখানে কোনো দোষ ছিলো না মাশরাফির। মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় যতটা আলোচিত হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল ওই ম্যাচের দুটি ঘটনা।
ইংল্যান্ডের আধিনায়ক জস বাটলার আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বুনো উল্লাস তার ভালো লাগেনি। তিনি তেড়ে যান বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দিকে। কিন্তু আম্পায়াররা এসে তাকে শান্ত করেন। ম্যাচ শেষে তামিমের সঙ্গে লেগে যান বেন স্টোকস।
সেই ঘটনায় মাশরাফি ও সাব্বির রাহমানকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। বাটলারকে করা হয় শুধু তিরস্কার।
চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ
বাংলাদেশের ইনিংসে তেমন কিছু ঘটেনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের ইনিংসে আবারও কথার লড়াই। এবার মাশরাফির সঙ্গে লেগে যান স্যাম বিলিংস।
চলে কথার লড়াই। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার এসে বিষয়টির মীমাংসা করেন। তবে মাশরাফি মেজাজ না হারিয়ে যৌক্তিতভাবেই কথা বলেন। করেন বিলিংসের অন্যায় দাবির প্রতিবাদ।
ঘটনাটা ইংল্যান্ডের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। মাশরাফির করা চতুর্থ বলে থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়েই দ্রুত রান নেন স্যাম বিলিংস। এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড় শুরু করেন।
কিন্তু নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা মাশরাফির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তার। জেমস ভিন্সও দৌড় দিয়ে মাঝক্রিজের বেশি চলে আসেন। বলও চলে আসে মুশফিকুর রহিমের দিকে।
কিন্তু থ্রোটা হয় এলোমেলো। ভিন্স মাঝ ক্রিজ থেকে দৌড়ে আবার ফিরে যান স্ট্রাইকিং প্রান্তে। আর বিলিংস কথার লড়াই শুরু করে দেন মাশরাফির সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, মাশরাফি ইচ্ছা করেই তার রান নেওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাশরাফির এখানে কোনো দোষ ছিল না। তিনি বলের দিকে দৃষ্টি রেখে সামনে এগোচ্ছিলেন। আগাতে আগাতে তিনি স্যাম বিলিংসের সামনে পড়ে যান। তাতেই তাদের সংঘর্ষ হয়।
বিষয়টি নিয়ে মাশরাফি মেজাজ না হারালেও বিলিংস বিড়বিড় করে কথা বলতেই থাকেন। তখন মাশরাফি আম্পায়ারদের বোঝান যে, তিনি তো ইচ্ছা করে বিলিংসের পথে আসেননি। এরপর আম্পায়াররা বিষয়টির মীমাংসা করেন।