ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

গোপালগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৬
  • ২২৮ বার

বিজয়া দশমীর আনন্দ ভাগাভাগি এবং প্রাণবন্ত করতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাঘর নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বুধবার সকাল থেকে মাদারীপুর মধুমতি বিলরুট ক্যানেল জলিরপারে নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু’পাড়ে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ঘাঘর বাজার বণিক সমিতি এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে। মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপার ইউনিয়ন পরিষদ এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন এবং মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ।
শত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছর বিজয়া দশমীর পরের দিন। এ বছর কোটালীপাড়ার আশপাশের এলাকা ছাড়াও মাদারীপুর, বাগেরহাট ও বরিশাল জেলা থেকে অসংখ্য দর্শক এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসেন। এ বাইচে অংশ নিয়ে ছিল নানা রঙ্গের বাচারী নৌকা। প্রতিযোগিতার প্রধান আকর্ষণ ছিল মহিলাদের বাচারী নৌকা।
নৌকা বাইচে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শতাধিক সরেঙ্গা, ছিপ, কোষাও বাচারী নৌকা অংশ নেয়। নান্দনিক এ নৌকা বাইচ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিলাল হোসেন, ্উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, লক্ষ্মী রাণী সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, মুন্সি এবাদুল ইসলাম, শ্রমিক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, ঘাঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চক্রধর মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্নু, বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান মুন উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে বুধবার সকাল থেকে মুকসুদপুরের জলিরপারে মাদারীপুর মধুমতি বিলরুট ক্যানেল জলিরপারে নানান প্রকারের নৌকা জড় হতে থাকে। সেখানে বাইচ শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, কথিত আছে যে আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর আগে যশোরের বিঘাপতির জমিদার খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ঘাঘর নদীতে দূর্গা পূজার বিজয়া দশমীর দিন এখানে মেলা ও নৌকা বাইচের আয়োজন করেছিলেন। সেখান থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় এখানে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। কোটালীপাড়া উপজেলার সকল ধর্মের জনগন এ নৌকা বাইচে অংশ গ্রহণ করেন। আগামীতে দিনেও আমরা এ ধরনের নৌকা বাইচের আয়োজন করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

গোপালগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

আপডেট টাইম : ১২:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৬

বিজয়া দশমীর আনন্দ ভাগাভাগি এবং প্রাণবন্ত করতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাঘর নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বুধবার সকাল থেকে মাদারীপুর মধুমতি বিলরুট ক্যানেল জলিরপারে নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু’পাড়ে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ঘাঘর বাজার বণিক সমিতি এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে। মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপার ইউনিয়ন পরিষদ এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন এবং মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ।
শত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছর বিজয়া দশমীর পরের দিন। এ বছর কোটালীপাড়ার আশপাশের এলাকা ছাড়াও মাদারীপুর, বাগেরহাট ও বরিশাল জেলা থেকে অসংখ্য দর্শক এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসেন। এ বাইচে অংশ নিয়ে ছিল নানা রঙ্গের বাচারী নৌকা। প্রতিযোগিতার প্রধান আকর্ষণ ছিল মহিলাদের বাচারী নৌকা।
নৌকা বাইচে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শতাধিক সরেঙ্গা, ছিপ, কোষাও বাচারী নৌকা অংশ নেয়। নান্দনিক এ নৌকা বাইচ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌর মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিলাল হোসেন, ্উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, লক্ষ্মী রাণী সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, মুন্সি এবাদুল ইসলাম, শ্রমিক লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, ঘাঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চক্রধর মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মন্নু, বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান মুন উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে বুধবার সকাল থেকে মুকসুদপুরের জলিরপারে মাদারীপুর মধুমতি বিলরুট ক্যানেল জলিরপারে নানান প্রকারের নৌকা জড় হতে থাকে। সেখানে বাইচ শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, কথিত আছে যে আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর আগে যশোরের বিঘাপতির জমিদার খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ঘাঘর নদীতে দূর্গা পূজার বিজয়া দশমীর দিন এখানে মেলা ও নৌকা বাইচের আয়োজন করেছিলেন। সেখান থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় এখানে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। কোটালীপাড়া উপজেলার সকল ধর্মের জনগন এ নৌকা বাইচে অংশ গ্রহণ করেন। আগামীতে দিনেও আমরা এ ধরনের নৌকা বাইচের আয়োজন করবো।