আটককেন্দ্রে বন্দী থাকা ৪৮ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছেথাইল্যান্ড সরকার। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। তবে দেশটির জাতীয় পুলিশ কমিশনার কিতরাতকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, এটি নিরাপত্তা ইস্যু। বিস্তারিত বলার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
২০১৪ সালে চীন থেকে পালিয়ে আসা ৩০০ জনেরও বেশি উইঘুরকে মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছে থাই কর্তৃপক্ষ আটক করেছিল। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ১০৯ জন বন্দিকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চীনে ফেরত পাঠায়। বিষয়টি তখন আন্তর্জাতিক হৈ চৈ ফেলে দেয়। ১৭৩ জন উইঘুরকে (বেশিরভাগই নারী ও শিশু) তুরস্কে পাঠানো হয়। আর ৫৩ জন উইঘুরকে থাইল্যান্ড বন্দি করে রাখে। সেখানে দুই শিশুসহ পাঁচজন আটক অবস্থায় মারা গেছেন। বাকি ৪৮ জনকে ফেরত পাঠানোর গুঞ্জন উঠেছে।
তবে কয়েক সপ্তাহ আগেই থাই পুলিশ দাবি করেছিল, উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
বিরোধী দলীয় এমপি কানাভি সুবসাং আজ ফেসবুকে ছয়টি ভ্যানের ছবি পোস্ট করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ভ্যানগুলোতে করেই উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
কানাভি দাবি করেন, ভোর ৪টার দিকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স এর একটি ফ্লাইট ব্যাংকক এয়ারপোর্ট ছেড়ে গেছে। সেই বিমানে করেই গোপনে ৪৮ জন উইঘুরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।