ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনো মুসলমান পূজায় যেতে পারেন না: আ.লীগ নেতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬
  • ২৮৪ বার

কোনো মুসলমান কখনোই পূজায় যেতে পারে না, যে পূজায় যায় সে কখনো মুসলমান হতে পারে না’- টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্যই করেছেন।

দুগাপূজা চলার সময় সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি সারফুল ইসলাম রাসেল তার ফেসবুক এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর থেকেই লাইক, শেয়ার পরতে শুরু করেছে এবং পক্ষে বিপক্ষে নানা কমেন্টসও শুরু হয়েছে।

জালাল উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন ‘দিস ইজ নট কারেক্ট। জাকির হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘গুড কমেন্টস।’

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের এমন স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে ধর্ম নিরক্ষেতার কথা বললেও মনের দিক থেকে তারা ধর্মান্ধ। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের এই স্ট্যাটাস তারই প্রমাণ।

সারফুল ইসলাম রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে ফোনে বলেন, ‘হ্যাঁ স্ট্যাটাসটি আমারই। আমিই এটি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। বিশ্বাস থেকেই আমি এটি দিয়েছি।’

আপনি আওয়ামী লীগের নেতা, উপজেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। আপনার এই বক্তব্য দলের নীতির সঙ্গে যায় কি না-প্রশ্ন করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে ফোনে বলেন, ‘আমি যা লিখেছি তাতে আমি বিশ্বাস করি। আর বিশ্বাস না করলে ঈমানই থাকবে না। যাই হোক, আমি আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য এই স্ট্যাটাস দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ তো সব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে এবং আপনার দলের একটা জনপ্রিয় স্লোগানও রয়েছে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ কী বলবেন?

শিল্পপতি রাসেল এর জবাবে বলেন, ‘এসব কথা বললে মুসলমানের ঈমান থাকবে না। আমার কাছে আমার দলীয় পদটা বড় না। আল্লাহকে রাজি-খুশির জন্য ঈমানই আমার কাছে বড়। এজন্য যদি আমার দুনিয়াও ছাড়তে হয় আমি দুনিয়াও ছেড়ে দেব ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন। আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি যাতে মুসলমানের উপকার হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। এখনে কে কী মনে করলো তাতে কী আসে যায়। এটা আমি আমার অন্তর থেকে দিয়েছি। আমাদের সবাইকে তো মরতে হবে। কে আওয়ামী লীগ করে কে কী করে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।’

সারফুল ইসলামের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তাঁর বক্তব্য কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এরকম বক্তব্যের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি আশা করি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কোনো মুসলমান পূজায় যেতে পারেন না: আ.লীগ নেতা

আপডেট টাইম : ০১:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬

কোনো মুসলমান কখনোই পূজায় যেতে পারে না, যে পূজায় যায় সে কখনো মুসলমান হতে পারে না’- টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্যই করেছেন।

দুগাপূজা চলার সময় সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি সারফুল ইসলাম রাসেল তার ফেসবুক এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর থেকেই লাইক, শেয়ার পরতে শুরু করেছে এবং পক্ষে বিপক্ষে নানা কমেন্টসও শুরু হয়েছে।

জালাল উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন ‘দিস ইজ নট কারেক্ট। জাকির হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘গুড কমেন্টস।’

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের এমন স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে ধর্ম নিরক্ষেতার কথা বললেও মনের দিক থেকে তারা ধর্মান্ধ। উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের এই স্ট্যাটাস তারই প্রমাণ।

সারফুল ইসলাম রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে ফোনে বলেন, ‘হ্যাঁ স্ট্যাটাসটি আমারই। আমিই এটি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। বিশ্বাস থেকেই আমি এটি দিয়েছি।’

আপনি আওয়ামী লীগের নেতা, উপজেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। আপনার এই বক্তব্য দলের নীতির সঙ্গে যায় কি না-প্রশ্ন করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে ফোনে বলেন, ‘আমি যা লিখেছি তাতে আমি বিশ্বাস করি। আর বিশ্বাস না করলে ঈমানই থাকবে না। যাই হোক, আমি আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য এই স্ট্যাটাস দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ তো সব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে এবং আপনার দলের একটা জনপ্রিয় স্লোগানও রয়েছে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ কী বলবেন?

শিল্পপতি রাসেল এর জবাবে বলেন, ‘এসব কথা বললে মুসলমানের ঈমান থাকবে না। আমার কাছে আমার দলীয় পদটা বড় না। আল্লাহকে রাজি-খুশির জন্য ঈমানই আমার কাছে বড়। এজন্য যদি আমার দুনিয়াও ছাড়তে হয় আমি দুনিয়াও ছেড়ে দেব ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন। আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি যাতে মুসলমানের উপকার হয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। এখনে কে কী মনে করলো তাতে কী আসে যায়। এটা আমি আমার অন্তর থেকে দিয়েছি। আমাদের সবাইকে তো মরতে হবে। কে আওয়ামী লীগ করে কে কী করে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।’

সারফুল ইসলামের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তাঁর বক্তব্য কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এরকম বক্তব্যের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি আশা করি।’