বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের মধ্যে আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের অবদানই বিতর্কের মূল বিষয়। সেখানে ছাত্রশিবিরের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন সাবেক শিবির কর্মীদের কেউ কেউ।এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের অবদানের বিষয়টি।
গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী মহানগরের মুখপাত্র ফারহান জুয়েলের এক ফেসবুক পোস্টে এই আলোচনার শুরু হয়। ওই পোস্টে ফারহান জুয়েল দাবি করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির সহ-সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার ছাত্রশিবিরের সাথী।
ফারহান জুয়েল লিখেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যখন কারফিউ দিল। তখন রাবি শাখা শিবিরের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদ হাসান বাবু ভাই আমাদেরকে (আমি এবং শাখা শিবিরের স্পোর্টস মো. আব্দুল্লাহ ও ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডের অর্থ সম্পাদক তানজিদ খান) দায়িত্ব দেয় শিবিরের সাথী ও সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। মুজাহিদ ফয়সাল ভাইয়ের নির্দেশে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর এবং শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মোটরসাইকেলে করে তাকে বাইরে নিয়ে আসতাম। এরপর প্রথমে নায়েম হোসাইন ভাইয়ের বাসা তারপর আমার এক আত্মীয়ের বাসায় সালাউদ্দিন আম্মারকে নিরাপদে ২ মাস রেখে নিরাপত্তা দেই।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এখন আশঙ্কা হচ্ছে, সেও কি আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদেরের মতো বেইমানি করে ইতিহাস বিকৃত করবে নাকি! তারাও তো ঢাবি শিবিরের সাথী ছিল। সালাহউদ্দিন আম্মার প্লিজ ভাই আপনিও অন্যদের মতো সংগঠনের সঙ্গে বেইমানি করিয়েন না। তখন মন থেকে কষ্ট পাব।’
সালাহউদ্দিন আম্মার ছাত্রশিবিরের সাথী কিনা জানতে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ ফয়সাল ও সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে সহ-সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনিও কল রিসিভ করেননি।