ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে: অধ্যাপক মুজিবুর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ বার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো সরকারই বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, জুলুম অত্যাচার বন্ধ করতে পারেনি। এগুলো বন্ধ করতে হলে নির্ভুল আইন চালু করতে হবে, আর সেই আইন হলো আল্লাহর আইন। আল্লাহর আইন যেদিন চালু হবে, সেদিন বাংলাদেশ থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার বন্ধ হবে।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠি শহরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ সংগ্রাম করেছিল, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে নিয়েছে। ২০২৪ সালে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই এবং মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। ভোটকেন্দ্রে গেলে বলা হতো ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, আপনার ভোট দেওয়া লাগবে না। তখন ভোট দেওয়ার রুচি আর কারও থাকল না।

তিনি বলেন, তারা ১০ টাকায় চাল বিক্রির কথা বলে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আগষ্টে যারা অগণিত মানুষকে হত্যা করেছিল, আর বলেছিল দেশ ছেড়ে পালাবে না, তারা পালানোর জন্য ইঁদুরের গর্তও খুঁজে পায় নাই।

তিনি আরও বলেন, ঝালকাঠির আশেপাশে অনেক ভালো ভালো ইসলামী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। যেমন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ:), ছারছিনা পীর, চরমোনাই পীর ও নেছারাবাদের পীর। তারা ইসলামের খেদমদ করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠির মাটি ইসলামের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে এখানে ইসলামের পক্ষে জোয়ার ওঠবে ইনশাল্লাহ।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, বিগত সরকার আমাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়ে গেছে। তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৪ দিনের মাথায় আল্লাহ স্বৈরাচারকে নিষিদ্ধ করে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে আল্লাহর আইন চালু করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের আইন চলে, মানুষের আইনে ভুল আছে কিন্তু আল্লাহর আইনে কোনো ভুল নাই। যত সরকার এসেছে, কোনো সরকারই বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, জুলুম অত্যাচার বন্ধ করতে পারেনি। এগুলো বন্ধ করতে হলে নির্ভুল আইন চালু করতে হবে, আর সেই আইন হলো আল্লাহর আইন। আল্লাহর আইন যেদিন চালু হবে, সেদিন বাংলাদেশ থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার বন্ধ হবে। ইসলাম একটি আলো, আর বাকি সব অন্ধকার। আলো আসলে অন্ধকার থাকে না। কিন্তু বর্তমানেও অন্ধকার বিরাজমান আছে। আমরা আল্লাহর আইন ইসলামকে কায়েম করতে চাই।

তিনি বলেন, যত অন্যায় অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন আছে, বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে চাই। এজন্য স্বাধীনতার আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। যারা জুলুম নির্যাতন করেছিলো তাদের মহানায়ককে বিতারিত করা হয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষবাদ, জাতীয়তাবাদ, বস্তুবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ ও সমাজতান্ত্রিকবাদ দেখেছি, কোনো মতবাদই শান্তি দিতে পারে নাই। যারফলে গোটা জাতি হতাশ হয়ে পড়েছিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। একমাত্র ইসলামী মতবাদই শান্তি দিতে পারবে। এজন্য সকল আলেম ওলামাদের নিয়ে একটি ভোটের বাক্স বসাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে দাফন দিয়েছিল। সকল পত্রিকা, প্রচার মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে তাদের অনুসারী কয়েকটি মিডিয়া চালু রেখেছিল। তারা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছিল। এখন পর্যন্ত নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাই। আমরা দ্রুত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পেতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য, এ. কে.এম ফখরুদ্দিন খান রাযী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর জব্বার, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, পিরোজপুর জেলা আমির মো. তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ, সাবেক এজিএস ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ব্যবসায়ী বিভাগের সিনিয়র সহসভাপতি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ফয়জুল হক, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি এম সায়েম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে: অধ্যাপক মুজিবুর

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো সরকারই বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, জুলুম অত্যাচার বন্ধ করতে পারেনি। এগুলো বন্ধ করতে হলে নির্ভুল আইন চালু করতে হবে, আর সেই আইন হলো আল্লাহর আইন। আল্লাহর আইন যেদিন চালু হবে, সেদিন বাংলাদেশ থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার বন্ধ হবে।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঝালকাঠি শহরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের জনগণ সংগ্রাম করেছিল, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে নিয়েছে। ২০২৪ সালে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় নাই এবং মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। ভোটকেন্দ্রে গেলে বলা হতো ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, আপনার ভোট দেওয়া লাগবে না। তখন ভোট দেওয়ার রুচি আর কারও থাকল না।

তিনি বলেন, তারা ১০ টাকায় চাল বিক্রির কথা বলে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই আগষ্টে যারা অগণিত মানুষকে হত্যা করেছিল, আর বলেছিল দেশ ছেড়ে পালাবে না, তারা পালানোর জন্য ইঁদুরের গর্তও খুঁজে পায় নাই।

তিনি আরও বলেন, ঝালকাঠির আশেপাশে অনেক ভালো ভালো ইসলামী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। যেমন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ:), ছারছিনা পীর, চরমোনাই পীর ও নেছারাবাদের পীর। তারা ইসলামের খেদমদ করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠির মাটি ইসলামের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে এখানে ইসলামের পক্ষে জোয়ার ওঠবে ইনশাল্লাহ।

 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, বিগত সরকার আমাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়ে গেছে। তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। ৪ দিনের মাথায় আল্লাহ স্বৈরাচারকে নিষিদ্ধ করে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে আল্লাহর আইন চালু করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের আইন চলে, মানুষের আইনে ভুল আছে কিন্তু আল্লাহর আইনে কোনো ভুল নাই। যত সরকার এসেছে, কোনো সরকারই বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, জুলুম অত্যাচার বন্ধ করতে পারেনি। এগুলো বন্ধ করতে হলে নির্ভুল আইন চালু করতে হবে, আর সেই আইন হলো আল্লাহর আইন। আল্লাহর আইন যেদিন চালু হবে, সেদিন বাংলাদেশ থেকে জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচার বন্ধ হবে। ইসলাম একটি আলো, আর বাকি সব অন্ধকার। আলো আসলে অন্ধকার থাকে না। কিন্তু বর্তমানেও অন্ধকার বিরাজমান আছে। আমরা আল্লাহর আইন ইসলামকে কায়েম করতে চাই।

তিনি বলেন, যত অন্যায় অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন আছে, বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে চাই। এজন্য স্বাধীনতার আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। যারা জুলুম নির্যাতন করেছিলো তাদের মহানায়ককে বিতারিত করা হয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষবাদ, জাতীয়তাবাদ, বস্তুবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ ও সমাজতান্ত্রিকবাদ দেখেছি, কোনো মতবাদই শান্তি দিতে পারে নাই। যারফলে গোটা জাতি হতাশ হয়ে পড়েছিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। একমাত্র ইসলামী মতবাদই শান্তি দিতে পারবে। এজন্য সকল আলেম ওলামাদের নিয়ে একটি ভোটের বাক্স বসাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে দাফন দিয়েছিল। সকল পত্রিকা, প্রচার মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে তাদের অনুসারী কয়েকটি মিডিয়া চালু রেখেছিল। তারা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছিল। এখন পর্যন্ত নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাই। আমরা দ্রুত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পেতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য, এ. কে.এম ফখরুদ্দিন খান রাযী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর জব্বার, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, পিরোজপুর জেলা আমির মো. তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ, সাবেক এজিএস ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ব্যবসায়ী বিভাগের সিনিয়র সহসভাপতি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ফয়জুল হক, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাই, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি এম সায়েম প্রমুখ।