ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০১৫
  • ৬৪৯ বার
মধুমাস শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ কিন্তু কাটেনি। এখনো বাজারে মৌসুমী ফল আম, জাম, লিচু বিক্রি হচ্ছে। এই গরমে নানা মিষ্টি ফলের ভিড়ে অন্যরকম আবেদন সৃষ্টি করে টক-টক একটু কষসমৃদ্ধ জাম। শুধু খেতেই নয়, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল জাম। তবে গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও খুব বেশিদিন বাজারে দেখা যায় না ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি।টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

জাম খেতে সামান্য কষভাব রয়েছে। তবে রোগ নিরাময়ে জামের রয়েছে ভেষজ ও পুষ্টি গুণ অনেক। শুধু এর নরম মাংসল অংশটাই নয়, এর বীজেও ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়।
১. জামের পেটের জন্য উপকারী। এতে  পেটের রোগ সেরে যায়। ক্ষুধামন্দা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
২. বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হয়।
৩. গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে।
৪.  জামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জামে এটি দূর হয়।
৫. জামের ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রেখে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়।
৬. জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরেও শক্তি সঞ্চিত করে।
৭. দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। জামের উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৮. ক্যানসারের জীবাণু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে জামের। বিশেষ করে মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৯. জামে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
১০. এই ফলের উপাদানগুলো মেমোরি সেলগুলোকে উজ্জীবিত করে স্মৃতিশক্তি বাড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে।টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

১১. নিয়মিত জাম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ডায়াটরি ফাইবারে পূর্ণ। তাই দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও জাম খেলে উপকার পাবেন।
১২. যাঁদের কোনো কিছুই মুখে রোচে না, তাঁরা রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল।
১৩. যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত জাম খেতে পারেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জামের জুড়ি নেই।
১৪. নিয়মিত জাম খেলে হৃদ্রোগ এড়ানো যায়।
১৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আছে সুখবর। রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামের জুড়ি নেই।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

আপডেট টাইম : ০৪:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০১৫
মধুমাস শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ কিন্তু কাটেনি। এখনো বাজারে মৌসুমী ফল আম, জাম, লিচু বিক্রি হচ্ছে। এই গরমে নানা মিষ্টি ফলের ভিড়ে অন্যরকম আবেদন সৃষ্টি করে টক-টক একটু কষসমৃদ্ধ জাম। শুধু খেতেই নয়, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল জাম। তবে গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও খুব বেশিদিন বাজারে দেখা যায় না ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি।টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

জাম খেতে সামান্য কষভাব রয়েছে। তবে রোগ নিরাময়ে জামের রয়েছে ভেষজ ও পুষ্টি গুণ অনেক। শুধু এর নরম মাংসল অংশটাই নয়, এর বীজেও ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়।
১. জামের পেটের জন্য উপকারী। এতে  পেটের রোগ সেরে যায়। ক্ষুধামন্দা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
২. বর্তমানে কিছু দেশে জাম দিয়ে বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা ব্যবহারে চুল পাকা বন্ধ হয়।
৩. গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিষে পেস্ট তৈরি করে তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে।
৪.  জামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জামে এটি দূর হয়।
৫. জামের ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রেখে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায়।
৬. জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরেও শক্তি সঞ্চিত করে।
৭. দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। জামের উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৮. ক্যানসারের জীবাণু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে জামের। বিশেষ করে মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৯. জামে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
১০. এই ফলের উপাদানগুলো মেমোরি সেলগুলোকে উজ্জীবিত করে স্মৃতিশক্তি বাড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখে।টসটসে জাম পুষ্টিতেও ঠাসা

১১. নিয়মিত জাম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ডায়াটরি ফাইবারে পূর্ণ। তাই দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরাও জাম খেলে উপকার পাবেন।
১২. যাঁদের কোনো কিছুই মুখে রোচে না, তাঁরা রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল।
১৩. যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত জাম খেতে পারেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জামের জুড়ি নেই।
১৪. নিয়মিত জাম খেলে হৃদ্রোগ এড়ানো যায়।
১৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আছে সুখবর। রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় করে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামের জুড়ি নেই।