সম্ভাব্য সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নির্ধারিত গতিসীমার চাইতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালে ভিডিও দেখে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলা দেওয়া শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো গাড়ি তিনবারের বেশি গতিসীমা লঙ্ঘন করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে।
আজ শনিবার রাজধানীর কুড়িলে এক্সপ্রেসওয়ের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এক্সপ্রেসওয়েরযানচলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান।
তিনি বলেন, যেসব যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি হবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
হাসিব হাসান খান বলেন, ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালালে পুলিশকে জানানো হবে। ভিডিও পুলিশকে সরবরাহ করা হবে। কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে গতিসীমা লঙ্ঘনে তিনবার মামলা হয়ে থাকলে সেটিকে ভবিষ্যতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের যানচলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক বলেন, ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে প্রধানত পাঁচ সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এগুলো হলো-ওভারহিট গাড়ি, চাকা পাংচার, জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া, বিমানবন্দরের যাত্রী সেবা, দুর্ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে কিছু দুর্ঘটনা এবং উদ্ধারের ভিডিও চিত্র দেখিয়ে হাসিব হাসান খান জানান, এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু জানুয়ারি মাসে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা অবস্থায় ৯০টি গাড়ির ইঞ্জিনের সমস্যা দেখা দেয়। টায়ার পাংচারের ঘটনা ঘটে ৫১টি, জ্বালানি ফুরিয়ে গাড়ি বন্ধের ঘটনা ঘটে ২০টি এবং ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।