ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-হিলারির দ্বিতীয় বিতর্ক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬
  • ২০২ বার

প্রথম বিতর্কের পর থেকেই বেকায়দায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্প। সবশেষ নারীদের ব্যাপারে অশ্লীল ও কুৎসিত মন্তব্যসংবলিত ভিডিও ফাঁসের পর তার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠেছে। ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছেন রিপাবলিকান দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেও সমালোচনার ঝড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। আর এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ট্রাম্প-হিলারির দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্ক। এই বিতর্ককে ট্রাম্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত আটটায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাতটা) মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হবেন হিলারি ও ট্রাম্প। এবার বিতর্কের সঞ্চালক সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপার ও এবিসির মার্থা রাডাটজ। সিএনএনসহ সব আমেরিকান টিভি নেটওয়ার্ক ও ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার। স্ন্যাপচ্যাটে দেখা যাবে দুই প্রার্থীর কথার লড়াই। এবারের বিতর্কের সময়সীমাও ৯০ মিনিট।

এবারের দ্বিতীয় বিতর্কটির গঠন ভিন্ন। টাউনহল ধাঁচের এই বিতর্কে প্রশ্ন করবেন বিভিন্ন পেশা ও রাজনৈতিক পরিচয়ের নাগরিকরা। ইন্টারনেটে তাদের পাঠানো প্রশ্নের ভিত্তিতে সামনের আসনে বসা দর্শকরা পূর্বনির্ধারিত ক্রমানুসারে উভয় প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করবেন। সঞ্চালকরাও তাদের নিজেদের পছন্দমতো প্রশ্ন করবেন।

হিলারি বিতর্কের এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি অসংখ্য টাউনহল সভায় অংশ নিয়েছেন। স্টেডিয়াম বা খোলা মাঠে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে ভাষণ দিতে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। অন্যদিকে ট্রাম্পের পছন্দ ঠিক এই ধরনের নির্বাচনী সভা, কারণ এখানে তিনি নিজে যা খুশি বলে যেতে পারেন, তাকে প্রশ্ন করতে বা তার অবস্থান নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই।

ব্যাপারটা সহজ হবে না জেনে ট্রাম্প ইতিমধ্যে টাউনহল ধাঁচের একটি নির্বাচনী সভা করেছেন। স্পিকার পল রায়ানের সঙ্গে উইসকনসিনে গত শনিবার অনুরূপ একটি সভায় যোগ দেন।

ইতিহাস থেকেও কিছুটা অনুপ্রেরণা নিতে পারেন ট্রাম্প। প্রথম বিতর্কে পিছিয়ে পড়েও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় এসেছে ১৯৮৪ ও ২০১২ সালে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প-হিলারির দ্বিতীয় বিতর্ক

আপডেট টাইম : ১২:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬

প্রথম বিতর্কের পর থেকেই বেকায়দায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্প। সবশেষ নারীদের ব্যাপারে অশ্লীল ও কুৎসিত মন্তব্যসংবলিত ভিডিও ফাঁসের পর তার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি উঠেছে। ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছেন রিপাবলিকান দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেও সমালোচনার ঝড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। আর এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ট্রাম্প-হিলারির দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্ক। এই বিতর্ককে ট্রাম্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত আটটায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাতটা) মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হবেন হিলারি ও ট্রাম্প। এবার বিতর্কের সঞ্চালক সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপার ও এবিসির মার্থা রাডাটজ। সিএনএনসহ সব আমেরিকান টিভি নেটওয়ার্ক ও ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার। স্ন্যাপচ্যাটে দেখা যাবে দুই প্রার্থীর কথার লড়াই। এবারের বিতর্কের সময়সীমাও ৯০ মিনিট।

এবারের দ্বিতীয় বিতর্কটির গঠন ভিন্ন। টাউনহল ধাঁচের এই বিতর্কে প্রশ্ন করবেন বিভিন্ন পেশা ও রাজনৈতিক পরিচয়ের নাগরিকরা। ইন্টারনেটে তাদের পাঠানো প্রশ্নের ভিত্তিতে সামনের আসনে বসা দর্শকরা পূর্বনির্ধারিত ক্রমানুসারে উভয় প্রার্থীকে সরাসরি প্রশ্ন করবেন। সঞ্চালকরাও তাদের নিজেদের পছন্দমতো প্রশ্ন করবেন।

হিলারি বিতর্কের এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি অসংখ্য টাউনহল সভায় অংশ নিয়েছেন। স্টেডিয়াম বা খোলা মাঠে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে ভাষণ দিতে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। অন্যদিকে ট্রাম্পের পছন্দ ঠিক এই ধরনের নির্বাচনী সভা, কারণ এখানে তিনি নিজে যা খুশি বলে যেতে পারেন, তাকে প্রশ্ন করতে বা তার অবস্থান নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই।

ব্যাপারটা সহজ হবে না জেনে ট্রাম্প ইতিমধ্যে টাউনহল ধাঁচের একটি নির্বাচনী সভা করেছেন। স্পিকার পল রায়ানের সঙ্গে উইসকনসিনে গত শনিবার অনুরূপ একটি সভায় যোগ দেন।

ইতিহাস থেকেও কিছুটা অনুপ্রেরণা নিতে পারেন ট্রাম্প। প্রথম বিতর্কে পিছিয়ে পড়েও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় এসেছে ১৯৮৪ ও ২০১২ সালে।