সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লাকে চাঁদা না দেওয়ায় দলের আরেক নেতার বাড়ির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সহসভাপতি ওসমান আলী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওসমান আলী বলেন, যমুনা নদীর ভাঙনে পৈত্রিক বসতবাড়ি বিলীন হওয়ায় খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের কুরকি পূর্বপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া ২৭ শতক জায়গায় বেশ কিছুদিন আগে বসতবাড়ি করে বসবাস করছি। সম্প্রতি সেখানেই একটি টিনের ঘরের পাকা দেওয়াল নির্মাণ শুরু করেছি। এ অবস্থায় প্রতিহিংসার কারণে গত ১ জানুয়ারি সকালে ২০-২৫ জন লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে প্রতিবেশী জাহিদ মোল্লা ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তিনি জোরপূর্বক ৩টি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত দেওয়াল নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অমান্য করলে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি। এ অবস্থায় গত ২১ জানুয়ারি আদালতে পিটিশন মামলা করেছি। বিয়ষটি জানার পর জাহিদ মোল্লা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। নিরাপত্তার অভাবে বর্তমানে অন্যত্র অবস্থান করছি, বাড়িতে যেতে পারছি না। পরিবারের লোকজন বাড়িতে আতঙ্কে বসবাস করছে। প্রায় ১ মাস যাবত নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সরংঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বাদীর আইনজীবী ফরিদ আলম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে চৌহালী আমলি আদালতে পিটিশন মামলা করা হয়েছে। মামলায় জাহিদ মোল্লাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, ওসমান আলী আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছেড়েছেন। মিথ্যা মামলা করার কারণে এলাকার বহু লোকজন ক্ষেপে আছে, বাড়িতে এলেই ওসমানকে ধরবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একরামুল হোসাইন জানান, এ সংক্রান্ত আদেশের কপি এখনো আদালত থেকে ডিবি অফিসে এসে পৌঁছেনি। অফিস আদেশ হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।