বাছাই পর্বে ২০ লাখ প্রতিযোগী
প্রতিযোগিতার নাম ‘হলস্টাইন শো’। ফাইনালের আগে ছিল হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাছাই পর্ব। জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের অন্তত ২০ লাখ সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী গরু অংশ নিয়েছে সেই পর্বে। ২০ লাখ থেকে ‘গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন’ হবার আশা নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মাত্র দু’শ সুন্দরী।
‘সাইজ জিরো’ নয়, ডাবল এক্সএল
মানবীদের বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো ‘হলস্টার শো’-তে কোনো প্রতিযোগী জিরো ফিগার নিয়ে এলে বাছাই পর্বেও নাম লেখাতে পারবে না। বিচারকরা এমন সব গরুই বেছে নিয়েছেন যাদের দু’জোড়া শক্ত পায়ের ওপর রয়েছে সবল, সুদৃঢ় কাঠামো এবং যাদের দুধের বাণও বেশ বড়। তেমন প্রতিযোগীই ছিল বেশি। জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরুরা গড়ে প্রতিদিন ২৫ কেজি ঘাস এবং অন্যান্য খাবার খায়। এত খেলে কেউ মোটা-তাজা না হয়ে পারে!
সুন্দরীদের সাজগোজ
গরু সুন্দরীদের সাজগোজের জন্য ছিল ব্যাপক আয়োজন। শীতপ্রধান দেশ বলে গরুদের গায়ের লোম অনেক বড় বড় হয়। মাথার পাশে অনেক গরুর এমন ঘন, দীর্ঘ লোম থাকে যে তাদের ‘সুকেশিনী’ বলা যায় নির্দ্বিধায়। তাদের চুল কাটার জন্য ছিল বিশেষ সেলুন। পাঁজর আর দুধের বাটে মাখানোর জন্য ছিল বেবি অয়েল। চুল রং করানোর জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা।
গরু-সুন্দরীদের ক্যাটওয়াক
বিশ্ববিখ্যাত মডেলদের মতো ক্যাটওয়াকেও অংশ নিয়েছে গরু-সুন্দরীরা। কান খাড়া করে, নিতম্বটা একটু যৌনাবেদনময়ীর ভঙ্গিতে তুলে সামনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে যারা এগিয়ে যেতে পেরেছে, তাদেরই ‘ফুল মার্কস’ দিয়েছেন বিচারকরা।
সাফল্যের মূল মন্ত্র
প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ”পরিমিত খাবে এবং ঘুমাবে। শরীর কখনো নোংরা করবে না।” প্রতিদিন শাওয়ারের নীচে দাঁড়াতে হতো প্রতিযোগীদের। চার পায়ের খুরও পরিষ্কার করা হতো প্রতিদিন। বিশ্রাম নিতে হতো বাঁধা সময় মেনে। এ সব সু-অভ্যাস রপ্ত করে তবেই সবাই ফাইনালে হাজির হয়েছিল বিচারকদের প্যানেলের সামনে।
গরু-সুন্দরীরা নিলামে
হলস্টাইন গরুদের জার্মানি, লুক্সেমবুর্গসহ ইউরোপের এ অঞ্চলে অনেক কদর। দুধ দেয়া গরুদের মধ্যে এই হলস্টাইন গরুই সবচেয়ে বেশি আছে এ অঞ্চলে। এমন গরুর ক্রেতার অভাব নেই। এ প্রতিযোগিতায় অনেক কৃ্ষকই এসেছিলেন রথ দেখার পাশাপাশি কলাও বেচার লক্ষ্য নিয়ে। অর্থাৎ সুন্দরী গরুটা যখন প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করছে, তখনও ক্রেতা খুঁজেছেন গরুর মালিক। নিলাম হয়েছে এবং সেই নিলামে বিক্রিও হয়েছে অনেক ‘সুন্দরী’।
এবং এবারের বিজয়িনী….
জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরু সমাজে সবচেয়ে সুন্দরী কে? দু’বছরের জন্য এ প্রশ্নের উত্তর সবার জানা হয়ে গেছে। আট বছর বয়সি সুন্দরী ‘লেডি গাগা’ জিতে নিয়েছে এবারের ‘হলস্টাইন শো’। পপস্টার ‘লেডি গাগা’-র নামে নাম রাখার পর এবার তাদের প্রিয় গরুটি সেরার স্বীকৃতিও পেল। কৃষক হেনরিক ভিলে সত্যিই ভীষণ গর্বিত।
সংবাদ শিরোনাম
সেরা গরু-সুন্দরী প্রতিযোগিতা, বিজয়িনী ‘লেডি গাগা
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ০৩:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০১৫
- ৭৩৫ বার
সেরা সুন্দরীদের মেলা বসেছিল জার্মানিতে। মানুষ নয়, সুন্দর সুন্দর গরুদের মেলা। সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে সেরা গরু সুন্দরী। চলুন আজ জেনে নিই এই গরু-সুন্দরী প্রতিযোগিতার কিছু তথ্য।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ