ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ‘ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫ বার

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মসলিসে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেছেন, ‘আধিপত্যবাদি ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সু-সম্পর্ক নেই। তাদের পাশে চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গেও সুসম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তি ছোট দেশ মালদ্বীপও তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের আধিপত্যবাদি নীতির কারণে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জুডিশিয়াল কিলিং করে এবং কারাগারে নির্যাতনে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করা যাবে, কিন্তু তা হয়নি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান দুইবার, শেখ মুজিব একবার এবং সর্বশেষ তার কন্যা শেখ হাসিনা গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। এখন আইয়ুবও নেই, শেখ মুজিবও নেই। ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ৩দিনের মাথায় ৫আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বঙ্গভবনে, আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছে।’

তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে সিরাজপুর পিএল একাডেমী মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘চট করে নাকি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে, এমন কথা শুনেছিলাম। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ২হাজার ছাত্র- জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে। শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী- হেমলেট বাহিনী ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবী উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শহীদ পরিবারের মা- বাবাদের সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাহাব উদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবি উঠলেও আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে কথা বলে, সংবিধান বৈধ থাকলে এ সরকার বৈধ থাকে না। এখন তো সংবিধানই নেই, তোমরা কোন সংবিধানের কথা বলছো।’

সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. ইকবাল হোসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাওলানা মহি উদ্দিন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম ফয়সল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী, এডভোকেট শংকর ভৌমিক, শহীদ আবদুর নুর রাসেলের পিতা সফি উল্যাহ প্রমূখ।

এদিকে সম্মেলনে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে নির্যাতিতদের নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার ‘ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই’

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মসলিসে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেছেন, ‘আধিপত্যবাদি ভারতের আশেপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সু-সম্পর্ক নেই। তাদের পাশে চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গেও সুসম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তি ছোট দেশ মালদ্বীপও তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের আধিপত্যবাদি নীতির কারণে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জুডিশিয়াল কিলিং করে এবং কারাগারে নির্যাতনে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করা যাবে, কিন্তু তা হয়নি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান দুইবার, শেখ মুজিব একবার এবং সর্বশেষ তার কন্যা শেখ হাসিনা গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। এখন আইয়ুবও নেই, শেখ মুজিবও নেই। ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ৩দিনের মাথায় ৫আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বঙ্গভবনে, আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছে।’

তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে সিরাজপুর পিএল একাডেমী মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘চট করে নাকি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে, এমন কথা শুনেছিলাম। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ২হাজার ছাত্র- জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে। শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী- হেমলেট বাহিনী ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবী উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শহীদ পরিবারের মা- বাবাদের সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাহাব উদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবি উঠলেও আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে কথা বলে, সংবিধান বৈধ থাকলে এ সরকার বৈধ থাকে না। এখন তো সংবিধানই নেই, তোমরা কোন সংবিধানের কথা বলছো।’

সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. ইকবাল হোসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাওলানা মহি উদ্দিন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম ফয়সল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী, এডভোকেট শংকর ভৌমিক, শহীদ আবদুর নুর রাসেলের পিতা সফি উল্যাহ প্রমূখ।

এদিকে সম্মেলনে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে নির্যাতিতদের নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার।