৪৫ পেরিয়ে ৪৬ বছরে পা দিয়েছেন নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। আজ ১৭ ডিসেম্বর নায়িকার জন্মদিন। বিশেষ দিনটিতে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় সিক্ত শাবনূর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাকে ঘিরে লেখা হচ্ছে নানা শুভেচ্ছাবার্তা। শাবনূরও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন, ভালোবাসা উপলব্ধি করছেন নতুন ভাবে।
শাবনূরের কথায়, ‘সবাই আমাকে এখনো এতটা ভালোবাসে, এদিনে সেটা আবার নতুন করে উপলব্ধি হয়। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই ফোনে এসএমএস আসে, অনেকে কথাও বলে। ফেসবুকে কত সুন্দর সুন্দর কথা লেখে। সহকর্মীদের ভালোবাসায়ও আমি মুগ্ধ। কেউই আমাকে বুঝতে দেয় না, অনেক দিন কাজে নেই। দেশের মানুষের মনে শাবনূর হয়ে জায়গা করতে পেরেছি। সবাই আজও নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে, এর চেয়ে বড় অর্জন আর কীই-বা হতে পারে। ফেলে আসা জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, আমি যা চেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। মানুষের এই ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করে।’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত শাবনূর। পরিবার নিয়ে স্থায়ী হয়েছেন সূদুর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। এর মাঝে বহুবার অভিনয়ে ফেরার কথা শোনা গেলেও, চলতি বছর নতুন দুই সিনেমায় অংশ নেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ‘রঙ্গনা’ ও ‘এখনো ভালোবাসি’র পাশাপাশি চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ নামে আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করার কথা রয়েছে তার।
এদিকে, বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে আইজান নিহানকে নিয়েই শাবনূর সকল ব্যস্ততা। মাঝে কথা রটে- আবারও বিয়ের পিঁড়ি বসবেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে নায়িকা জানান, এটি শুধুই গুজব। আপাতত বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই তার।
শাবনূরের কথায়, ‘যে তারকার জনপ্রিয়তা যত বেশি, তাকে ঘিরেই তত বেশি আলোচনা–সমালোচনা থাকবেই। আপাতত বিয়ে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া, যেকোনো নারীর জন্য সুখকর নয়। তাই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে। অনেকে মনে করেন, একবার কারো প্রতারণার শিকার হলে আর কোনো পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস বা বিয়ে করা যায় না- এটি ভুল ধারণা। ভালো-মন্দ পৃথিবীর সবকিছুতেই আছে। তাই বলে ভালো মানুষ যে আর পাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। তবে বিয়ে নিয়ে আমার আপাতত আগ্রহ না থাকার পেছনে আমার সন্তান। আইজানকে মানবিক মূল্যবোধের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাই আমার আপাতত স্বপ্ন, চিন্তা। ওর বেড়ে ওঠার এ সময়টায় আমাকে সবচেয়ে বেশি দরকার।’
বলা দরকার, সিনেমার ঘোষণা দিলেও পুরোপুরি ফিট না হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান না শাবনূর। তাই সময় নিচ্ছেন। এখন অপেক্ষা শুধু ফেরার।