জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন স্বাস্থ্যবিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. তাসনিম জারা। নতুন এ দায়িত্ব পেয়েই গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।
সেখানে জারা লেখেন, ‘আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি। তাই সিদ্ধান্তটি সহজ ছিল না। তবে এই কমিটিতে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত, চিন্তাশীল ও সৎ মানুষকে পেয়েছি, যারা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। তাদের সহকর্মী হতে পারা এবং দেশের জন্য একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘জানি না আমরা কতটা সফল হতে পারব। কারণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সকল নাগরিকের মর্যাদা নিশ্চিত এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা, শ্রম ও ত্যাগের ব্যাপার। তবে এই পরিবর্তন আনার জন্য আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাব।’
পোস্টের শেষের দিকে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্য কোনো পরামর্শ থাকলে দয়া করে জানাবেন। ভুল করলে তা ধরিয়ে দেবেন। আর ভালো কিছু করলে উৎসাহ ও সমর্থন দিয়ে পাশে থাকবেন।’
এর আগে গত সোমবার নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব করে জাতীয় নাগরিক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। আর এ কমিটিতেই যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ডা. তাসনিম জারার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ডা. তাসনিম জারা গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় ‘আন্দোলনের সময় কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা যেভাবে করবেন’ শিরোনামে ভার্চুয়ালি পরামর্শ দিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ান।
উল্লেখ্য, ডা. তাসনিম জারা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের একজন চিকিৎসক ও ‘সহায় হেলথ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চতর পড়াশোনা করতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখান থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল (ডিসটিঙ্কশন) অর্জন করে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ান এবং গাইনোকোলজিস্ট থেকে ডিআরসিওজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। ডা. তাসনিম জারা বর্তমানে বিশ্বখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে কাজ করছেন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পড়ান।