ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে মহাচুরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫
  • ৪২৮ বার

প্রেমিক হুমায়ন কবির আর প্রেমিকা রুমা আক্তার। দু’জন কাজ করতেন নগরীর কাপাসগোলায় বিএনপি নেতা আহমদ খলিল খানের বাসায়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে হুমায়ন কবির চাকুরিচ্যুত হয়।

এরপর রুমা আক্তার হুমায়ন কবিরকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। হুমায়ন শর্ত দেয়, যদি আহমদ খলিল খানের বাসায় চুরি করতে তাকে সহযোগিতা করে তবে বিয়ে করবে। শর্তে কাজ হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে সংঘটিত করে মহাচুরি।

হুমায়ন কবির ছিলেন আহমদ খলিল খানের বাসার গাড়িচালক আর রুমা আক্তার গৃহপরিচারিকা। ২৪ আগস্ট রাতে আহমদ খলিল খানের বাসা থেকে তারা ৬৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ৮টি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সেট, নগদ ৫৫ হাজার টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ২টি বিভিন্ন কোম্পানির মডেম ও ১টি হার্ডডিস্ক চুরি করে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোর্শেদ  বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা মিলেই চুরির পরিকল্পনা করে। পরিবারের সদস্যদের বাসায় অনুপস্থিতির সুযোগে রুমা আক্তার হুমায়ন এবং সাবেক নিরাপত্তা রক্ষী জমিরকে বাসায় ঢোকায়। এরপর আরেক গৃহপরিচারিকাকে এক কক্ষে আটকে রেখে চুরি সংঘটিত করে।

চকবাজার থানার ওসি আতিক আহমেদ চৌধুরী  জানান, চুরির পর হুমায়ন কবির চোরাই মালামালগুলো নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।

চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় রনজিতা জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার এক লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখে। রনজিতা জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়েলার্সের মালিক পলাতক আছেন।

চুরির ঘটনায় আহমদ খলিল খানের ছেলে মো.জাবেদ খান বাদি হয়ে চকবাজার থানায় ২৬ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২৫ আগস্ট সকালে রুমা আক্তার এবং রাতে সাতকানিয়ার কেরাণীহাট থেকে জমিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর রুমা আক্তার ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তার স্বীকারোক্তিমতে ২৭ আগস্ট হুমায়ন কবিরকে এবং তার বাবা আবু তাহেরকে মালামাল হেফাজতে রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি বাংলানিউজকে বলেন, ৬৬ ভরি স্বর্ণালংকার আমরা উদ্ধার করেছি। শুধুমাত্র দুই ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারিনি। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য আহমদ খলিল খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। রাজনীতিতে তিনি সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এম মোরশেদ খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে মহাচুরি

আপডেট টাইম : ০৪:১৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫

প্রেমিক হুমায়ন কবির আর প্রেমিকা রুমা আক্তার। দু’জন কাজ করতেন নগরীর কাপাসগোলায় বিএনপি নেতা আহমদ খলিল খানের বাসায়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে হুমায়ন কবির চাকুরিচ্যুত হয়।

এরপর রুমা আক্তার হুমায়ন কবিরকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। হুমায়ন শর্ত দেয়, যদি আহমদ খলিল খানের বাসায় চুরি করতে তাকে সহযোগিতা করে তবে বিয়ে করবে। শর্তে কাজ হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে সংঘটিত করে মহাচুরি।

হুমায়ন কবির ছিলেন আহমদ খলিল খানের বাসার গাড়িচালক আর রুমা আক্তার গৃহপরিচারিকা। ২৪ আগস্ট রাতে আহমদ খলিল খানের বাসা থেকে তারা ৬৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ৮টি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সেট, নগদ ৫৫ হাজার টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ২টি বিভিন্ন কোম্পানির মডেম ও ১টি হার্ডডিস্ক চুরি করে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মনজুর মোর্শেদ  বলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা মিলেই চুরির পরিকল্পনা করে। পরিবারের সদস্যদের বাসায় অনুপস্থিতির সুযোগে রুমা আক্তার হুমায়ন এবং সাবেক নিরাপত্তা রক্ষী জমিরকে বাসায় ঢোকায়। এরপর আরেক গৃহপরিচারিকাকে এক কক্ষে আটকে রেখে চুরি সংঘটিত করে।

চকবাজার থানার ওসি আতিক আহমেদ চৌধুরী  জানান, চুরির পর হুমায়ন কবির চোরাই মালামালগুলো নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।

চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় রনজিতা জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার এক লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখে। রনজিতা জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। জুয়েলার্সের মালিক পলাতক আছেন।

চুরির ঘটনায় আহমদ খলিল খানের ছেলে মো.জাবেদ খান বাদি হয়ে চকবাজার থানায় ২৬ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২৫ আগস্ট সকালে রুমা আক্তার এবং রাতে সাতকানিয়ার কেরাণীহাট থেকে জমিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর রুমা আক্তার ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তার স্বীকারোক্তিমতে ২৭ আগস্ট হুমায়ন কবিরকে এবং তার বাবা আবু তাহেরকে মালামাল হেফাজতে রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি বাংলানিউজকে বলেন, ৬৬ ভরি স্বর্ণালংকার আমরা উদ্ধার করেছি। শুধুমাত্র দুই ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারিনি। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য আহমদ খলিল খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। রাজনীতিতে তিনি সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এম মোরশেদ খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।