দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রফতানির বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে ভর্তুকি সুবিধা দেবে সরকার। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
রফতানির বিপরীতে ভর্তুকির এ সুবিধা চলতি বছরের ১ জুলাই হতে জাহাজিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভর্তুকি পরিশোধ নিষ্পত্তি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনের সরকারী বাণিজ্যিক নিরীক্ষা বিভাগের পরীক্ষণের জন্য পরিশোধের তারিখ হতে অন্যূন তিন বছর পর্যন্ত শাখায় সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, রফতানিকৃত পণ্যের হ্যান্ডলিং, মানোন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণে নির্বাহকৃত ব্যয় এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ফ্রেইট চার্জ পরিশোধজনিত ব্যয়ের বিপরীতে ডব্লিউটিও বিধি অনুযায়ী আলোচ্য ভর্তুকি প্রদেয় হবে। রফতানি ঋণপত্র/চুক্তিত্রের আওতায় রফতানি-পরবর্তী পর্যায়ে প্রণীত দলিলাদি কিংবা ডকুমেন্টারি কালেকশনের মাধ্যমে প্রত্যাবাসিত রফতানি আয়ের বিপরীতে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় রফতানিকারকরা রফতানি ভর্তুকির জন্য ফরম-ক অনুসারে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন।
টিটি’র মাধ্যমে অগ্রিম রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তযুক্ত রফতানি ঋণপত্র/চুক্তির বিপরীতে রফতানির ক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে বিদেশি ক্রেতার যথার্থতা/বিশ্বাসযোগ্যতা, মূল্যের সঠিকতা এবং বাংলাদেশ হতে প্রকৃত রফতানির নিমিত্তে টিটি’র মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য প্রত্যাবাসন সম্পর্কে টিটি বার্তার ভাষ্য ও অন্যান্য কাগজপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
টিটি’র মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে (এক্সচেঞ্জ হাউস ব্যতীত) রফতানি আদেশ প্রদানকারী বা আমদানিকারক কর্তৃক সম্পন্ন হতে হবে এবং টিটি বার্তার ভাষ্যে আমদানি সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্র উল্লেখ থাকতে হবে। সকল ক্ষেত্রে ভর্তুকির আবেদনপত্র বিদেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবে রফতানি মূল্য আকলনের (রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসনের) তারিখের ১৮০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় দাখিল করতে হবে।