ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ”কোরআনে ‘ইলম’ (শিক্ষা/জ্ঞান) শব্দটি ৮০০ বার ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহর পর এটাই সবচেয়ে ব্যবহৃত শব্দ। এই ধর্মে শিক্ষার এমনই গুরুত্ব।”
নিজ বাসভবনে’ এজুকেশন অব মুসলিমস’ (মুসলমানদের শিক্ষা) নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় মোদি এসব কথা বলেন। বইটি যৌথভাবে লিখেছেন ইতিহাসবেত্তা জেএস রাজপতু ও ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচার সেন্টারের সভাপতি সিরাজুদ্দীন কোরেশী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত সার্কভুক্ত ও এর বাইরের কিছু মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের (কাতার, বাহরাইন, মিসর ও ইন্দোনেশিয়া) হাইকমিশনার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মতো অনুষ্ঠান সাধারণত হয় না। তবে প্রথমবারের মতো মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর হাইকমিশনারদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন মোদি। এ সময় তিনি উপস্থিত হাইকমিশনারদের রমজানের শুভেচ্ছাও জানান।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ভারতের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের বিষয়টি তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান এ জন্য যে এমন এক দেশে বাস করছি, যেখানে লোকজন বিভিন্ন বিশ্বাস ধারণ করে ও একই ভাষায় কথা বলে এবং প্রায় একই সংস্কৃতি মেনে চলে। বিভিন্ন বিশ্বাস বোঝার এ সুযোগ পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যকার মূল বিষয় হলো পরস্পরকে বোঝা।
এ সময় মোদি উল্লেখ করেন, ১৮৯৪ সালে আহমেদাবাদে একজন হিন্দু ইসলামবিষয়ক একটি সেমিনারের আয়োজন করেন। মুসলমান মেয়েদের শিক্ষাবিষয়ক একটি প্রস্তাবও (যা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়) একজন হিন্দুই করেছিলেন।
ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের আস্থাভাজন হতে একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।