ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার্ট অ্যাটাক মানেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট নয়, বুঝবেন কীভাবে?

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৭ বার

বিশ্বে বর্তমানে হার্টের সমস্যায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।হার্ট সম্পর্কিত সমস্যাগুলো যেন ক্রমবর্ধমান মানুষকে গ্রাস করে চলেছে। এখন বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরোলেই মানুষ হার্টের নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যাটাকের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে কম বয়সের মানুষও। মূলত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলকে।

হার্ট সম্পর্কিত রোগগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো সমস্যাগুলো প্রায় একই রকম শোনায়। তবে হার্ট সম্পর্কিত সমস্যার প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ রয়েছে, যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আবার হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে এক মনে করেন। যদিও দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

আসুন জেনে নিই, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী-

হার্ট অ্যাটাক কী? 

হার্ট অ্যাটাককে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালনে উদ্ভূত একটি সমস্যা। হার্টে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী ব্লক হয়ে যায়, যার কারণে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হার্টে পৌঁছাতে পারে না। এর উপসর্গগুলো হলো- বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি। এই সময়ের মধ্যে ব্যক্তি বেঁচে থাকে এবং সম্ভবত সচেতন, কিন্তু অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? 

হৃৎপিণ্ড হঠাৎ শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞা হারান রোগী। শারীরিক এই অবস্থাকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। অনেকেই জন্মগত হার্টের সমস্যা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

এর উপসর্গ হলো অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, সাড়া না দেওয়া, অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, মুখ নীল হয়ে যাওয়া, নাড়ি কম হওয়া ইত্যাদি। এটি একটি জরুরি চিকিৎসা অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সিপিআর, হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হার্ট অ্যাটাক মানেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট নয়, বুঝবেন কীভাবে?

আপডেট টাইম : ১১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বে বর্তমানে হার্টের সমস্যায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।হার্ট সম্পর্কিত সমস্যাগুলো যেন ক্রমবর্ধমান মানুষকে গ্রাস করে চলেছে। এখন বয়স ৩০-এর গণ্ডি পেরোলেই মানুষ হার্টের নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যাটাকের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে কম বয়সের মানুষও। মূলত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলকে।

হার্ট সম্পর্কিত রোগগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো সমস্যাগুলো প্রায় একই রকম শোনায়। তবে হার্ট সম্পর্কিত সমস্যার প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ রয়েছে, যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আবার হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে এক মনে করেন। যদিও দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

আসুন জেনে নিই, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী-

হার্ট অ্যাটাক কী? 

হার্ট অ্যাটাককে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালনে উদ্ভূত একটি সমস্যা। হার্টে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী ব্লক হয়ে যায়, যার কারণে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হার্টে পৌঁছাতে পারে না। এর উপসর্গগুলো হলো- বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি। এই সময়ের মধ্যে ব্যক্তি বেঁচে থাকে এবং সম্ভবত সচেতন, কিন্তু অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী? 

হৃৎপিণ্ড হঠাৎ শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞা হারান রোগী। শারীরিক এই অবস্থাকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। অনেকেই জন্মগত হার্টের সমস্যা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

এর উপসর্গ হলো অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, সাড়া না দেওয়া, অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস, মুখ নীল হয়ে যাওয়া, নাড়ি কম হওয়া ইত্যাদি। এটি একটি জরুরি চিকিৎসা অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সিপিআর, হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হয়।